কলকাতা, 19 অগস্ট: যাদবপুর কাণ্ডে এবার আসরে স্বয়ং কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল ৷ পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভlচোধুরীকে নিজেই একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করলেন খোদ পুলিশ কমিশনার ৷ "অংকে এত ভালো ছাত্র ৷ মা বাবা এত কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছেন ৷ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল তোমার ৷ কিন্তু কেন এমন কাজ করতে হল তোমাদের?" যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভকে এমনই প্রশ্ন করলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। সূত্রের খবর, নগরপালের এই প্রশ্নে অবশ্য চুপ ছিল সৌরভ চৌধুরী। কোনও প্রশ্নের উত্তর না-দেওয়ায় নগরপালের ঘর থেকে সৌরভকে নিয়ে ফের নিজেদের মতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা।
শনিবার বিকালে সৌরভ চৌধুরী এবং অন্য কয়েকজন ধৃতকে নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের লালবাজারের ঘরে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বিনীত গোয়েল নিজেই ধৃত সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। আর সে কারণেই তাকে পুলিশ কমিশনারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এদিন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা সৌরভ এবং অন্য কয়েকজন ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা পুলিশের নগরপালের ঘরে আসেন। এরপরই নগরপাল সৌরভ চৌধুরীকে প্রশ্নগুলি করেন। লালবাজার সুত্রের খবর, বিনীত গোয়েলের এই প্রশ্ন শুনে মাথা নিচু করেই ছিল সৌরভ চৌধুরী।
শুধুমাত্র এই ছাত্র এবং প্রাক্তন ছাত্ররা এই ঘটনায় যুক্ত আছে তেমনটা নয়। কারণ ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর যেভাবে অন্যান্য ছাত্রদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছিল তা শুধুমাত্র একার পক্ষে কখনওই সম্ভব নয়। এছাড়াও এই ঘটনায় পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পাওয়া যাবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। গোয়েন্দাদের দাবি, যেমন 9 তারিখ রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ক্যাম্পাস থেকে কেপিসি হাসপাতাল পর্যন্ত ওই ছাত্রকে যে ট্যাক্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ট্যাক্সির ফরেনসিক রিপোর্ট অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তদন্তকারীদের জন্য।
আরও পড়ুন: হস্টেল ছাড়ছেন পড়ুয়ারা, যাদবপুরের ঘটনায় ভিড় বাড়ছে আশপাশের মেস-পিজিতে
এছাড়াও শুক্রবার ধৃত সপ্তককে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নিয়ে গিয়ে আংশিক পুনর্নির্মাণ করারও চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। গতকাল রাতে ফের সেখানে পুলিশ গিয়ে হস্টেলের 68 নম্বর ঘর থেকে বেশ কিছু রক্তমাখা গামছা রুমাল এবং হাফ প্যান্ট উদ্ধার করেন। এগুলিও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্তকারীরা যে প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছেন, তার মধ্যে বেশিরভাগ উত্তর লুকিয়ে রয়েছে সপ্তক এবং সৌরভের মোবাইল এবং ল্যাপটপে। এই ঘটনায় আরও জোরালো তথ্যপ্রমাণ পাবেন তদন্তকারীরা এমনটাই তারা আশা করছেন।