কলকাতা, 22 জুন: ক্রমশই বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন ৷ তা জেরেই বাড়ছে তাপমাত্রা ৷ এটি এক প্রকার বিপদ সংকেত ৷ এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সবুজ ধ্বংস হওয়া ৷ বিগত কয়েক বছরে মহানগরে ক্রমশ সবুজ ফিকে হয়েছে । বিপর্যয় ঠেকাতে এবার জোরকদমে মাঠে নামছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
এবার এই কাজে সঙ্গে রয়েছে কলকাতা বন্দর এবং সেনা বাহিনীও । আগামী 3 বছরে এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তিলোত্তমায় । হারানো সবুজ ফিরিয়ে পরিবেশ বাঁচানোই অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই কলকাতা পৌরনিগমে সোমবার একটি বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকে বৃক্ষরোপণের নকশাও তৈরি হয়েছে। শহরের কোনও কোনও অঞ্চলে গাছ লাগানো হবে তা মোটামুটি ঠিক হয়েছে ।
নামমাত্র জায়গা, অথচ তারমধ্যেই গাছ লাগাতেই হবে ৷ তাই কলকাতা-হাওড়া মিলিয়ে গঙ্গার দুই পারে কোথায়, কতটা জায়গায় জুড়ে গাছ লাগানো যেতে পারে সেই জায়গার খোঁজ শুরু করেছে কলকাতা পৌরনিগম । কলকাতা পৌরনিগমের এই কাজে সঙ্গে থাকবে সেনা, বন্দর এবং হাওড়া পৌরনিগম । ইতিমধ্যেই যৌথ ভাবে গঙ্গায় তীরবর্তী এলাকায় টহল দিয়ে গাছ লাগানোর জায়গা চিহ্নিতকরণ পক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ।
রাজপথের দু’ধারে মূলত দেবদারু গাছ লাগানোর উপর জোর দেওয়া হবে । অন্যদিকে, নদীপাড়ে ভাঙন ঠেকাতে কেওড়া ও ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানো হবে । এদিনের বৈঠকে ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিত ছিলেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার, উদ্যান বিভাগের মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার, পূর্ত-সচিব অন্তরা আচার্য, সেনা ও বন্দর প্রতিনিধিরা ছিলেন ।
আরও পড়ুন: গাছ লাগানোর জায়গা চাই, সেনা থেকে বন্দর ও হাওড়া কর্পোরেশনকে বৈঠকে ডাক মন্ত্রীর
চলতি সপ্তাহে গঙ্গাপাড়ে জায়গা খুঁজতে পরিদর্শনে যাবেন কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিক, সেনাবাহিনী ও হাওড়া পৌর নিগমের আধিকারিকরা । এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, "শহর রাস্তা বা যেখানে জায়গা মিলবে সেখানে দেবদারু গাছ লাগানো হবে । তাছাড়া গঙ্গা পাড়ে ম্যানগ্রোভ থেকে শুরু করে নারকেল ও সুপারি গাছ বসবে ।"