কলকাতা, 15 মে: বিপুল খরচ হয় প্রতিমাসে বিদ্যুতের বিল মেটাতে। কোষাগার টালমাটাল অবস্থার মধ্যে এই বিলের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা দিকে খরচে লাগাম দিচ্ছে কলকাতা পৌরসভা। এবার বিদ্যুৎ বিলের খরচ বাঁচাতে বিকল্প পথে হাঁটছে কর্পোরেশন। নয়া এই পথ আরও পরিবেশ বান্ধব বটে। মহানগরের চার জায়গায় বসছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী গাছ।
কলকাতা কর্পোরেশনের আওতাধীন চারটি উদ্যানে এই গাছ বসানো হবে ৷ এতে যেমন সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তেমনই সৌন্দর্যায়ন হবে বলে মনে করছেন পৌরসভার কর্তারা। শুধু তাই নয় কলকাতা কর্পোরেশনের চারটি ভবনের ছাদেও বসছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্যানেল। এর থেকে 1 হাজার 200 কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। ইতোমধ্যেই নিউটাউনে বিভিন্ন জায়গায় বসেছে সোলার ট্রি। এবার সেই পথেই হাঁটছে কলকাতা কর্পোরেশন। এই পুরো প্রকল্প করতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, ডলার ট্রি বসছে মোহরকুঞ্জে দু'টো এবং দেশপ্রিয় পার্ক ও পার্ক সার্কাসে একটি করে।
সোলার প্যানেল বসানো হবে গড়িয়াহাট অফিসের ছাদে, নিউ মার্কেটের নতুন বিল্ডিংয়ে, গার্ডেনরিচ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। আরও চার জায়গায় দ্বিতীয় দফায় বসানো হবে। সেগুলো বসবে ধাপা, 14 নম্বর ওয়ার্ড হেলথ ইউনিট, 129 নম্বর ওয়ার্ডে লেবার কোয়ার্টার ও হাডকো বিল্ডিংয়ে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে সাধারণ বিদ্যুতের বিলের থেকে প্রায় অর্ধেক খরচ। প্রতিটি প্যানেল 20কেজি ওজন।
আরও পড়ুন: কলকাতার অন্দরকে চেনাতে নাগরিক পরামর্শে অভিনব উদ্যোগ কলকাতা পৌরনিগমের
প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে 60 থেকে 70 হাজার টাকা খরচ। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে সবটাই সিইএসসি কিনবে বলে চুক্তি হয়েছে। মাসে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় এই টাকা কাটছাঁট করে বোঝাপড়া করা হবে। পুরো নির্মাণ কাজ করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পাওয়া টাকা থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে। কলকাতা কর্পোরেশনের আলোক বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য সন্দীপ রঞ্জন বক্সী বলেন, "এই প্যানেলের কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হলেই আরও চারটি সোলার প্যানেল বসানোর কাজ শুরু হবে।"