কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসল কলকাতা পৌরনিগম । বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাত্র চারদিনের জ্বরে মৃত্যু হয়েছে বেহালা জেমস লং সরণির বাসিন্দা অভিরূপ সাহার (19) ৷ তারপরই বৃহস্পতিবার কলকাতা পৌরনিগমে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ ।
বৈঠক শেষে অতীন ঘোষ জানান, কলকাতা পৌরনিগমের 4, 5, 6 ও 7 নম্বর বরোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি রয়েছে । এই চার বরোর মধ্য়ে 7 নম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে । প্রতিদিনই বোরোগুলিতে 10 থেকে 12 জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ধরা পড়েছে ।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুর লক্ষণ চিহ্নিতকরণ এবং প্রতিরোধের উপায়
এই মুহূর্তে কলকাতায় মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার । যার মধ্যে অধিকাংশই এই চার বরোতে । অতীন ঘোষ আরও জানান, কলকাতা পৌরনিগমের যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা টিকাকরণের কাজে নিযুক্ত ছিলেন তাদেরকে এবার ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের কাজে দেওয়া হবে । যেহেতু শহরের অধিকাংশ নাগরিকের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে তাই পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা এবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করবেন । ঘিঞ্জি বস্তি এলাকার ওই চারটি বরোতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বসবাস । তাই এই সব এলাকা অনুযায়ী শ্রমিকদের রক্ত পরীক্ষা করবে কলকাতা পৌরনিগম ।
ডেঙ্গুতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ বলেন, "গণেশ পুজো উপলক্ষে ছেলেটি বরানগরে মামাবাড়ি গিয়েছিল । গত শনিবার থেকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করায় তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে তার প্লেটলেট কমতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত গতকাল তাঁর মৃত্যু হয় । রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । যদিও মৃত ছাত্রের বাড়ির চারপাশে কোনও ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি । ইতিমধ্যে বরানগরে তার মামার বাড়িতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে ৷ রিপোর্ট এসে পৌঁছালে জানা যাবে কোথা থেকে ওই ছাত্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন : Fever : উত্তরবঙ্গের অজানা জ্বরের রহস্য সমাধান, শিশুদের নমুনায় মিলল ডেঙ্গু-স্ক্রাব টাইফাস