ETV Bharat / state

Garbage Cleaning in Kolkata: একাধিক হোটেল ও রেস্তরাঁযুক্ত এলাকায় রাতেও সাফাইয়ের পরিকল্পনা পৌরনিগমের

author img

By

Published : May 7, 2023, 8:08 PM IST

মহানগরে রাতেও জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করার পরিকল্পনা কলকাতা পৌরনিগমের ৷ হোটেল, রেস্তরাঁ রয়েছে এমন এলাকাতে জঞ্জাল বেশি জমায় রাতেও সাফাই করার কথা ভাবা হচ্ছে ৷

Garbage Cleaning by KMC
জঞ্জাল সাফাই

কলকাতা, 7 মে: দিনের পাশাপাশি এবার রাতেও হবে কলকাতায় রাস্তাঘাট সাফাই ৷ বিশাল এলাকাজুড়ে মহানগর ৷ দিনের বেলা প্রতিটি এলাকা সাফাই করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের সাফাই কর্মীদের । লোকবলের অভাবে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না । বহু এলাকায় জঞ্জাল তুলতে বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে সাফাইকর্মীদের । তবে পরিস্থিতি যাই থাক এবার দিনের পাশাপাশি রাতেও সাফাই কাজ করার পরিকল্পনা করছে কলকাতা কর্পোরেশন । যে সমস্ত এলাকায় একাধিক হোটেল ও রেস্তরাঁ রয়েছে, সেখানেই মূলত রাতও চলবে সাফাইয়ের কাজ ৷ যাতে সকাল হলেই রাস্তাঘাট ঝা চকচকে পরিষ্কার থাকে ৷

প্রসঙ্গত, কলকাতা পৌরনিগমে দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ ছিল স্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ । পরে মাঝে মধ্যে এক আধবার সাফাইকর্মী নিলেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম তার সংখ্যা । স্থায়ী সাফাই কর্মীরা একের পর এক অবসর নিচ্ছেন । ফাঁকা হচ্ছে জায়গা । কমছে লোকবল ৷ তবু সেই গুরুত্বপূর্ণ পদেও নেওয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় কর্মী । যার জেরে পরিষেবা ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের । ইতিমধ্যেই একাধিক কাউন্সিলর তাঁদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের জন্য সাফাইকর্মীর দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে । কোনও ওয়ার্ডে 90 জন স্থায়ী কর্মী কমে 60 ঠেকেছে । কোথায় 50 থেকে কমে 25 জনে । তবু স্থায়ী পদে লোক নেওয়া হচ্ছে না । সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কাউন্সিলর । অল্প লোক দিয়ে ওয়ার্ডের কাজ করতে হচ্ছে ৷ ফলে নির্দিষ্ট সময় জঞ্জাল মুক্ত করা যাচ্ছে না ওই সমস্ত এলাকাকে । বেলা গড়ালেও অপরিষ্কার থেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ।

এমনকী এই সমস্যা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে মাসিক অধিবেশনে পর্যন্ত তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন । পৌরনিগম সূত্রে খবর, স্থায়ী কর্মী কম থাকলেও কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে ৷ তাই যে ওয়ার্ডে বেশি স্থায়ী বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সাফাই কর্মী রয়েছে, সেখানকার কর্মীদের অন্য ওয়ার্ডে কাজে লাগানো হবে ৷ এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার বলেন, "যুক্তিযুক্ত দাবি । কাজের পরিধি বেড়েছে । মজদুর সংখ্যা কমেছে । পরিষেবার সময় বেড়েছে । হাসপাতালগুলি থেকে শুরু করে বাইপাস পরিষ্কার করতে হয় । 1-100 নম্বর ওয়ার্ডে স্থায়ী শ্রমিক ছিল । 101 থেকে বাকি ওয়ার্ডে পরবর্তী সময় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ হয় । আমরা বর্জ্য পৃথকীকরণ নিয়ে প্রতি ওয়ার্ডে কর্মী দিচ্ছি ।"

তবে এই পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের আরও এক মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, কলকাতার বহু এলাকার চরিত্র বদলেছে । আগে এলাকাগুলি জনবসতি ছিল, এখন সেখানে একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ মাথা তুলেছে । তাই সেই সমস্ত এলাকা চিহ্নিত করে দিনের সঙ্গে রাতেও সাফাই পরিষেবা চালু করা যায় কি না, বিবেচনা করার কথা জানান তিনি । বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানান জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্তারাও । জানা গিয়েছে, কলকাতা পৌরনিগমে বর্তমানে সাফাই কর্মীর সংকট কোনওভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে 100 দিনের কাজের লোক দিয়ে ৷

আরও পড়ুন: নয়া কর পদ্ধতির আওতায় না-এলে 30 শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা কেএমসি'র

কলকাতা, 7 মে: দিনের পাশাপাশি এবার রাতেও হবে কলকাতায় রাস্তাঘাট সাফাই ৷ বিশাল এলাকাজুড়ে মহানগর ৷ দিনের বেলা প্রতিটি এলাকা সাফাই করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের সাফাই কর্মীদের । লোকবলের অভাবে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না । বহু এলাকায় জঞ্জাল তুলতে বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে সাফাইকর্মীদের । তবে পরিস্থিতি যাই থাক এবার দিনের পাশাপাশি রাতেও সাফাই কাজ করার পরিকল্পনা করছে কলকাতা কর্পোরেশন । যে সমস্ত এলাকায় একাধিক হোটেল ও রেস্তরাঁ রয়েছে, সেখানেই মূলত রাতও চলবে সাফাইয়ের কাজ ৷ যাতে সকাল হলেই রাস্তাঘাট ঝা চকচকে পরিষ্কার থাকে ৷

প্রসঙ্গত, কলকাতা পৌরনিগমে দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ ছিল স্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ । পরে মাঝে মধ্যে এক আধবার সাফাইকর্মী নিলেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম তার সংখ্যা । স্থায়ী সাফাই কর্মীরা একের পর এক অবসর নিচ্ছেন । ফাঁকা হচ্ছে জায়গা । কমছে লোকবল ৷ তবু সেই গুরুত্বপূর্ণ পদেও নেওয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় কর্মী । যার জেরে পরিষেবা ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের । ইতিমধ্যেই একাধিক কাউন্সিলর তাঁদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের জন্য সাফাইকর্মীর দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে । কোনও ওয়ার্ডে 90 জন স্থায়ী কর্মী কমে 60 ঠেকেছে । কোথায় 50 থেকে কমে 25 জনে । তবু স্থায়ী পদে লোক নেওয়া হচ্ছে না । সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কাউন্সিলর । অল্প লোক দিয়ে ওয়ার্ডের কাজ করতে হচ্ছে ৷ ফলে নির্দিষ্ট সময় জঞ্জাল মুক্ত করা যাচ্ছে না ওই সমস্ত এলাকাকে । বেলা গড়ালেও অপরিষ্কার থেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ।

এমনকী এই সমস্যা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে মাসিক অধিবেশনে পর্যন্ত তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন । পৌরনিগম সূত্রে খবর, স্থায়ী কর্মী কম থাকলেও কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে ৷ তাই যে ওয়ার্ডে বেশি স্থায়ী বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সাফাই কর্মী রয়েছে, সেখানকার কর্মীদের অন্য ওয়ার্ডে কাজে লাগানো হবে ৷ এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার বলেন, "যুক্তিযুক্ত দাবি । কাজের পরিধি বেড়েছে । মজদুর সংখ্যা কমেছে । পরিষেবার সময় বেড়েছে । হাসপাতালগুলি থেকে শুরু করে বাইপাস পরিষ্কার করতে হয় । 1-100 নম্বর ওয়ার্ডে স্থায়ী শ্রমিক ছিল । 101 থেকে বাকি ওয়ার্ডে পরবর্তী সময় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ হয় । আমরা বর্জ্য পৃথকীকরণ নিয়ে প্রতি ওয়ার্ডে কর্মী দিচ্ছি ।"

তবে এই পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের আরও এক মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, কলকাতার বহু এলাকার চরিত্র বদলেছে । আগে এলাকাগুলি জনবসতি ছিল, এখন সেখানে একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ মাথা তুলেছে । তাই সেই সমস্ত এলাকা চিহ্নিত করে দিনের সঙ্গে রাতেও সাফাই পরিষেবা চালু করা যায় কি না, বিবেচনা করার কথা জানান তিনি । বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানান জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্তারাও । জানা গিয়েছে, কলকাতা পৌরনিগমে বর্তমানে সাফাই কর্মীর সংকট কোনওভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে 100 দিনের কাজের লোক দিয়ে ৷

আরও পড়ুন: নয়া কর পদ্ধতির আওতায় না-এলে 30 শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা কেএমসি'র

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.