কলকাতা, 28 জুন: শহরে নয়া পার্কিং ফি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই শুরু হয়েছিল ই-পস মেশিনের মাধ্যমে পার্কিং ফি আদায়। নগদে কোনও ফি জমা নেওয়া নয়, সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে মাধ্যমে নাগরিকরা টাকা জমা দেবেন। সেই টাকা সরাসরি কলকাতা কর্পোরেশনের কোষাগারে জমা পড়বে। ফলে বারে বারে এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার, সেই পথ আর খোলা থাকবে না।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এখনও বেশ কিছু এজেন্সি নানা কৌশল মারফত নাগরিকদের থেকে পার্কিং ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। যা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না-বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার। তবে এই হুঁশিয়ারির পরে কতটা হুশ ফিরবে এজেন্সিগুলির তা নিয়ে আধিকারিকদের একাংশ সংসয় প্রকাশ করছেন। চলতি অর্থিক বছরেই বাজেটে নয়া পার্কিং ফি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে তা লাগু হলে ব্যাপকভাবে নাগরিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
বিপুল টাকা ফি হওয়ার কারণে চাপের মুখেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম সেই নির্দেশিকা রাতারাতি প্রত্যাহার করেন। তবে আরও একটি পদক্ষেপ কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে নেওয়া হয়েছে নতুন আর্থিক বছর থেকেই। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, সম্প্রতি মিটিংয়ে এজেন্সিগুলি প্রায় সিংহভাগ প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পার্কিং বিভাগের আধিকারিকরা ও মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার। 44টি পার্কিং এজেন্সির মধ্যে 32টি ই-পস মেশিন নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত বাকিদের বহু বলার পরেও তাঁরা কেউ এই মেশিন নেননি। যারা মেশিন নিয়েছেন তাঁদের অনেকেই সঠিকভাবে সেই মেশিন ব্যবহার করছেন না-বলেই অভিযোগ এসেছে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে।
এই ধরনের বিষয় নজরে আসতেই কলকাতা কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যারা এখনও পর্যন্ত মেশিন নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না, তাঁদের প্রয়োজনের শোকজ করা হবে। আর যে সমস্ত এজেন্সি এখনও মেশিন নেয়নি তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নবান্নে সবুজ সংকেত মিললে নতুন পার্কিং ফি বাস্তবায়িত করা হবে এবং তারপরেই আমরা এজেন্সিগুলিকে টেন্ডার দিতাম। কিন্তু যথেচ্ছভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ আশায়, দ্রুততার সঙ্গে পার্কিং লটগুলি নতুন করে টেন্ডার করা হয়। তাদের ই-পস মেশিন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিরেছে পুরনো নিয়ম, পার্কিংয়ের খরচ কমায় খুশি গাড়িরচালক থেকে পার্কিং এজেন্সির কর্মীরাও