ETV Bharat / state

KMC Tree Plantation: গাছ লাগানোর জায়গা চাই, সেনা থেকে বন্দর ও হাওড়া কর্পোরেশনকে বৈঠকে ডাক মন্ত্রীর

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে ৷ এই অসহ্য উষ্ণতার ছ্যাঁকা আর বোধহয় নেওয়া যাচ্ছে না ৷ তাই অবশেষে গাছ লাগাতে বাধ্য পৌরনিগম ৷ তড়িঘড়ি বৃক্ষরোপণের জায়গা খুঁজতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ডাকা হয়েছে সেনা, বন্দর ও হাওড়া পৌরনিগমকে ৷

Etv Bharat
গাছ লাগানোর জায়গা খুঁজছে কলকাতা পৌরনিগম
author img

By

Published : Jun 20, 2023, 9:29 AM IST

কলকাতা, 20 জুন: উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে উষ্ণতা । এদিকে বর্ষা আসছেও দেরি করে । যার জেরে বাড়ছে দূষণ । পরিবেশের কার্যত দফারফা হয়ে যাচ্ছে মহানগরীর । আর তার ফলে ভুগছে নগরবাসী । বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে বড় বিপর্যয় ঠেকাতে তৎপর পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । ঘিঞ্জি শহরে জায়গার অভাব ৷ কিন্তু তাতেই যে কোনওমতে লাগাতে হবে গাছ । কারণ অদূর ভবিষ্যতে পরিবেশকে বাঁচাতে এছাড়া আর কোনও উপায় নেই । তাই সেনা থেকে শুরু করে বন্দর, রেল এমনকী গঙ্গার ওই পাড়ে হাওড়া কর্পোরেশনকে এবার ডাক দিলেন তিনি । লক্ষ্য কোন সংস্থা কোথায় কতটুকু জায়গা দেবে । সেখানেই হবে বনায়ন ।

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শহরের মধ্যে বড় গাছ লাগানোর জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব । ইস্টার্ন মেট্রোলিটন বাইপাস ছাড়া সেই অর্থে জায়গা প্রায় নেই বললেই চলে । তাই গাছ লাগাতে বিকল্প জায়গাগুলো উপর দেওয়া হচ্ছে নজর । যেমন গঙ্গার ধার, রেলের ফাঁকা জমি, সেনার হাতে থাকা কিছু জায়গা । সেই জায়গা নির্দিষ্ট করতেই আগামিকাল বুধবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমে ।

সেখানে হাওড়া কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, সেনা, পূর্ত দফতর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা । আগামী মাসেই বনসৃজন সপ্তাহ রয়েছে । কয়েকদিন আগেই মেয়র কলকাতা এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চলতি অর্থবর্ষের (2023-24) মধ্যে 10 লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন । তার জন্য বিভিন্ন দফতরের সাহায্যও চেয়েছিলেন তিনি । শহরে গাছ লাগানোর জায়গা সীমিত । তাই নজর গঙ্গার দু'পাড় । দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত দু'দিকে গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে । কিন্তু সেখানে আবার সেনা এবং বন্দরের অনুমতির প্রয়োজন । গঙ্গাপাড়ে কোথায় কোথায় গাছ লাগানোর জমি রয়েছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে । এই কর্মকাণ্ডে যাতে প্রশাসনিক জটিলতা না আসে তাই সেনা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে । পূর্ত দফতরের কিছু ফাঁকা জায়গা রয়েছে । সেখানেও গাছ লাগানো যায় কি না, তাও আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে ।

ফুটপাত ও মিডিয়ান স্ট্রিপ মিলিয়ে শহরে বাফার গ্রিন জোন রয়েছে প্রায় 50-55 কিমি । চলতি অর্থবর্ষে বাফার জোনে ছোট গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় 80 হাজার থেকে 1 লক্ষ । গত এক বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে বৃক্ষরোপণের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ । গাছ লাগানো ছাড়া সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা এই মুহূর্তে আর সম্ভব নয় ৷ তাই উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে এখন গাছই ভরসা ৷

আরও পড়ুন: কলকাতায় একাধিক পার্কে বসছে সোলার ট্রি, প্যানেল পৌরভবনে

কলকাতা, 20 জুন: উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে উষ্ণতা । এদিকে বর্ষা আসছেও দেরি করে । যার জেরে বাড়ছে দূষণ । পরিবেশের কার্যত দফারফা হয়ে যাচ্ছে মহানগরীর । আর তার ফলে ভুগছে নগরবাসী । বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে বড় বিপর্যয় ঠেকাতে তৎপর পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । ঘিঞ্জি শহরে জায়গার অভাব ৷ কিন্তু তাতেই যে কোনওমতে লাগাতে হবে গাছ । কারণ অদূর ভবিষ্যতে পরিবেশকে বাঁচাতে এছাড়া আর কোনও উপায় নেই । তাই সেনা থেকে শুরু করে বন্দর, রেল এমনকী গঙ্গার ওই পাড়ে হাওড়া কর্পোরেশনকে এবার ডাক দিলেন তিনি । লক্ষ্য কোন সংস্থা কোথায় কতটুকু জায়গা দেবে । সেখানেই হবে বনায়ন ।

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শহরের মধ্যে বড় গাছ লাগানোর জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব । ইস্টার্ন মেট্রোলিটন বাইপাস ছাড়া সেই অর্থে জায়গা প্রায় নেই বললেই চলে । তাই গাছ লাগাতে বিকল্প জায়গাগুলো উপর দেওয়া হচ্ছে নজর । যেমন গঙ্গার ধার, রেলের ফাঁকা জমি, সেনার হাতে থাকা কিছু জায়গা । সেই জায়গা নির্দিষ্ট করতেই আগামিকাল বুধবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমে ।

সেখানে হাওড়া কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, সেনা, পূর্ত দফতর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা । আগামী মাসেই বনসৃজন সপ্তাহ রয়েছে । কয়েকদিন আগেই মেয়র কলকাতা এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চলতি অর্থবর্ষের (2023-24) মধ্যে 10 লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন । তার জন্য বিভিন্ন দফতরের সাহায্যও চেয়েছিলেন তিনি । শহরে গাছ লাগানোর জায়গা সীমিত । তাই নজর গঙ্গার দু'পাড় । দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত দু'দিকে গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে । কিন্তু সেখানে আবার সেনা এবং বন্দরের অনুমতির প্রয়োজন । গঙ্গাপাড়ে কোথায় কোথায় গাছ লাগানোর জমি রয়েছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে । এই কর্মকাণ্ডে যাতে প্রশাসনিক জটিলতা না আসে তাই সেনা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে । পূর্ত দফতরের কিছু ফাঁকা জায়গা রয়েছে । সেখানেও গাছ লাগানো যায় কি না, তাও আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে ।

ফুটপাত ও মিডিয়ান স্ট্রিপ মিলিয়ে শহরে বাফার গ্রিন জোন রয়েছে প্রায় 50-55 কিমি । চলতি অর্থবর্ষে বাফার জোনে ছোট গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় 80 হাজার থেকে 1 লক্ষ । গত এক বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে বৃক্ষরোপণের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ । গাছ লাগানো ছাড়া সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা এই মুহূর্তে আর সম্ভব নয় ৷ তাই উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে এখন গাছই ভরসা ৷

আরও পড়ুন: কলকাতায় একাধিক পার্কে বসছে সোলার ট্রি, প্যানেল পৌরভবনে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.