কলকাতা, 6 নভেম্বর: আসন্ন কালী পুজোর বিসর্জন ও ছট পুজো নিয়ে পুলিশ, দমকল-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করল কলকাতা পৌরনিগম। এদিন পৌরনিগমের অধিবেশন কক্ষে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়। বাগবাজার, কাশিপুর থেকে খিদিরপুর, টালিগঞ্জ এলাকা-সহ শহরে মোট 116টি ঘাট প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গতবারের মতো এবারও রবীন্দ্র সরোবরে বন্ধ থাকছে ছটের উপাচার পালন। তার বিকল্প হিসেবে আশপাশের এলাকায় 23টি কৃত্রিম জলাশয় প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘাটে থাকছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। মহিলাদের পোশাক বদলের বিশেষ ঘর । মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার বন্দরের যে ঘাটগুলি রয়েছে সেখানে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। যাতে ছটে দণ্ডি কাটতে সমস্যা যাতে না হয়।
আরও পড়ুন: রেশন বণ্টনে দুর্নীতি রুখতে সক্রিয় হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার, জানালেন খাদ্যমন্ত্রী
এদিন বৈঠকে থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন,"আজকে সমস্ত বিভাগকে নিয়ে বৈঠক করা হল। দুর্গাপুজোয় কোনওরকমের দুর্ঘটনা ছাড়া একটি বড় উৎসব পালন হয়েছে। যেখানে কয়েক কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। সামনেই কালী পুজো রয়েছে। তার ব্যাবস্থা করার জন্য জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের কর্মী দের প্রস্তুত রাখা হয়েছে । যেহেতু রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর আচার পালন বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার জন্য অনেক ছোট ছোট জলাশয় আশপাশের এলাকাগুলিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে । ঘাট এবং গঙ্গা ধারের ঘাট গুলিতে পুলিশ কে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। যদি কোথায় আলোর ব্যবস্থা কম থাকে সেটা দেখতে বলা হয়েছে। সমস্ত ঘাটে মহিলা দের পোশাক বদল করার জায়গায় এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কেএমডিএ এবং কলকাতা পৌরনিগম ও পিডব্লিউডি মিলে এই সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে। এখন রবীন্দ্র সরোবর কেউ যায় না। তার জায়গায় 23টি নতুন করে ঘাট করা হয়েছে। টালিগঞ্জ, খিদিরপুর-সহ মোট 116টি ঘাট রয়েছে। তার মধ্যে গঙ্গা ঘাট এবং কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আওতাধীন কিছু ঘাট প্রস্তুত করা হচ্ছে ।"