কলকাতা, 31 মার্চ: রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে হাওড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকাতে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা রাজনৈতিক উস্কানির জেরে তৈরি হয় বলে দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । জবাবে ফিরহাদ হাকিম বললেন, ‘‘কিছু দুষ্কৃতীর কাজ৷ যারা রাজনীতিকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে ।’’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ায় গোলমাল ছড়ায় ৷ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিবপুরের সন্ধ্যাবাজার এলাকা ৷ শুক্রবার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে 36 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপির অভিযোগ ৷ তৃণমূলের তরফেও পালটা বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ৷
এই নিয়ে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কিছুই হয়নি । কিছু ক্রিমিনাল বদমাইশি করতেই পারে ৷ ধর্মীয় মিছিলে কেউ নোংরামি করবে আমি বিশ্বাস করি না । এখানেও পুজো হয় । সব জায়গাতেই কিছু ক্রিমিনাল ঢুকে পড়ে, যারা রাজনীতিকে নোংরামিতে পরিণত করা কিছু মানুষের দ্বারা মদতপুষ্ট । আমি আজও সবাইকে বলব, ধর্ম যার যার উৎসব সবার । ধর্মীয় মিছিলে ক্রিমিনালরা যাতে ঢুকতে না পারে সর্তক থাকতে হবে । ধর্ম কখনও বিভেদ শেখায় না ।’’
এদিকে ওই এলাকার পরিস্থিতি শুক্রবারও থমথমে ৷ এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি । নামানো হয়েছে ব়্যাফ৷ কোনও জায়গায় জমায়েত করতে দিচ্ছে না পুলিশ । তবে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ চড়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে । বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আহতদের দেখতে হাওড়ায় যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী । সেখানে বিজেপির দফতরে তিনি কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলবেন । সেখান থেকে আহতদের দেখতে তিনি হাওড়া হাসপাতাল যাবেন । তারপর হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে । এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ এই ঘটনায় তিনি এনআইএ-র তদন্ত চান ৷ সেই আর্জিই তিনি আদালতের কাছে জানিয়েছেন ৷
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ ও অন্য নেতারা দু’টি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে ৷ ওই ভিডিয়োতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রামনবমীর মিছিলে দুই যুবককে দেখা যাচ্ছে ৷ বিজেপি কেন ধর্মীয় মিছিলে অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷