কলকাতা, 25 মার্চ: ঠিকা প্রজাদের বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে 15 দিনের মধ্যে যাবতীয় অনুমোদনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পৌর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Bengal Minister Firhad Hakim) । কিন্তু নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না । শনিবার সেকথা নিজেই স্বীকার করেন তিনি । সাড়ে তিন হাজারের বেশি কেস বাকি পড়ে রয়েছে বলে নিজেই বলেন । পাশাপাশি দ্রুত কেসগুলির নিষ্পত্তি করার জন্য পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ।
ঠিকা প্রজাদের (Lease Land Tenants) বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নিয়ম সরলীকরণ করা হয়েছে । নিজস্ব ঠিকা সেল খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । নতুন এই পরিষেবার লক্ষ্যই ছিল শহরবাসীর হয়রানি কমানো । আদতে তা হয়নি । এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "ঠিকা টেনেনসিতে দু'রকম সমস্যা হচ্ছে ৷ একটা হচ্ছে ডিটার্মিনেশন অফ ঠিকা (ঠিকার নির্ধারণ), আর লিগ্যাল হেয়ারে (পারিবারিক সূত্রে পাওয়া) ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘লিগাল হেয়ারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় । ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে পাওয়া নথি আর কাউন্সিলরের চিঠি থাকলেই এটা হয়ে যায় । কিন্তু তার পরও অযথা সাড়ে তিন হাজার বা তার বেশি কেস আটকে রয়েছে । আগের ঠিকা কন্ট্রোলার যিনি আছেন তিনি ফেলে রেখে দিয়েছেন । তাই খলিল আহমেদ সাহেবকে বলেছি এটাও পৌরনিগমকে দিয়ে দিতে ।"
তবে ঠিকা প্রজাদের এক্ষেত্রে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে । এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "একটাই শুধু শর্ত ঠিকা প্রজাদের যাঁরা ভাড়াটে, তাঁদের রাখতেই হবে । এটা অ্যাসেসমেন্ট রেকর্ডে আছে, আমরা ফর্ম ফিল আপ করে জমা দিয়েছি । তাঁদেরকে রাখতেই হবে এটা জরুরি । এক্ষেত্রে যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের অন স্পট দ্য ছেড়ে দেওয়া উচিত, সেটাই খলিল আহমেদ সাহেবকে বলেছি ।"
উল্লেখ্য, কলকাতায় বর্তমানে প্রায় 2 হাজার একরের বেশি জমি ঠিকার আওতায় রয়েছে । প্রায় এই সমস্ত জমি নিয়ে অভিযোগ আসে কর্পোরেশনের (KMC) কাছে । পৌর আইন খতিয়ে দেখতেও বলা হয় ঠিকা প্রজাদের সুবিধার্থে ।
আরও পড়ুন: ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে রণংদেহী মনোভব কলকাতা পৌরনিগমের