কলকাতা, 9 জুন: স্বস্তির বৃষ্টিতেও বিষাদের ছোঁয়া ৷ শুক্রবার খাস কলকাতায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে একজনের ৷ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন ৷ এদিন বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত ধাপা এলাকায়। বাজ পড়ার কারণে রাস্তা দিয়ে যাওয়া দুই মহিলা গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। তাঁদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ যার মধ্যে একজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। মৃতার নাম কাজলা নস্কর। এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, 45 বছরের কাজলা দেবী দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা। আহত মহিলা কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার তারদহের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই লেদার কমপ্লেক্স থানা ও দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুর থানার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় আহত মহিলার নাম পলানি মণ্ডল (24)। প্রগতি ময়দান থানা সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে যখন বৃষ্টি নামে সেই সময়ে পরপর বাজ পড়তে থাকে। তখনই এলাকার বাসিন্দারা থানায় ফোন করে এই ঘটনার খবর দেন। জানা গিয়েছে ধাপা এলাকায় কাগজ কুড়ানির কাজ করছিলেন ওই মহিলারা। ইতিমধ্যেই পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ দেরিতে কেরলে বর্ষা ঢুকেছে 8 জুন ৷ সেই মতো আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই বৃষ্টি শুরু হবে ৷ সেই মতো, শুক্রবার বিকেল চারটা নাগাদ মুষলধারে বৃষ্টি নামে কলকাতায়। ঘনঘন বাজ পড়তে থাকে এলাকায়। দীর্ঘ দাবদাহ পেরিয়ে একটু স্বস্তি পেয়েছিল কলকাতাবাসী ৷ বৃষ্টির ফোটায় গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে পড়েছিল শান্তির মলম ৷ কিন্তু বিকেলের মধ্যেই আসে দুঃসংবাদ ৷ এর আগেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন অনেকে ৷
আরও পড়ুন: বজ্রাঘাতে মৃত্যু একই পরিবারের 2 কিশোরের
জুন মাসে বজ্রাঘাতে মুর্শিদাবাদে মারা গিয়েছিল একই পরিবারের দুই কিশোর ৷ উল্লেখ্য, বর্ষার মরসুমে রাজ্যে পাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয় ৷ সেই কারণে বারবার প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয় ৷ প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সময় কোনও ইলেকট্রিক পোলের সামনে না থাকা, কোনও গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়া, এমনকী রাস্তাতেও বেরোতে নিষেধ করা হয় ৷ শুক্রবার বাজ পড়ে যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি ওই রকম আবহাওয়াতেও কাজ করছিলেন ৷ ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন দক্ষিন 24 পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা কাজলা নস্কর ৷