কলকাতা, 27 নভেম্বর: চলতি সপ্তাহে মহানগরের বুকে ঘটে গিয়েছে একাধিক হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত কলকাতা পুলিশ ৷ উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা এবং একেবারে কলকাতা পুলিশ এবং দক্ষিণ 24 পরগনার সীমান্তে এই প্রকার হত্যালীলার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নজরদারি নিয়ে। বাস্তবে যখন কলকাতার বুকে ঘটে চলেছে একের পর এক হত্যাকাণ্ড, ঠিক সেই সময় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-এর 2022 সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতাকে সবচেয়ে নিরাপদ শহর বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ৷
এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী, জানা গিয়েছে 2018 থেকে 2022 সালে কলকাতায় মাত্র 45টি খুন হয়েছে। যেখানে বাকি শহরের মধ্যে দিল্লিতে গত তিন বছরে খুন হয়েছে 454 জন। মুম্বইয়ে খুন হয়েছে 162 জন, হায়দরাবাদে খুন হয়েছে 98 জন। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, খাতায়-কলমে কলকাতা শহরকে সবথেকে নিরাপদ শহর বলে আখ্যা দেয়া হলেও কীভাবে সেই শহরে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে ?
এই বিষয়ে আইপিএস মহলের একাংশের দাবি, অনেক সময় বিভিন্ন থানায় অভিযোগকারীরা অভিযোগ করতে আসলেও নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা অভিযোগ নেন না। এছাড়াও একাধিক রহস্য মৃত্যুর ঘটনা যেগুলি আদতে খুনের মামলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলি দীর্ঘদিন ধরে থানায় রহস্য মৃত্যুর ঘটনা বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েই পড়ে থাকে। সেক্ষেত্রে খাতায়-কলমে এই শহর বা রাজ্যে খুনের পরিসংখ্যান অনেক কম ।
গত 24 নভেম্বর সাত সকালে চিৎপুরে শেখ দুলারা নামে এক যুবককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার ঠিক একদিন পরেই দক্ষিণ কলকাতার ময়দানে টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দুই যুবকের মধ্যে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে ৷ এই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনস্থ চিংড়িঘাটায় এক যুবককে গলায় কাঁচি ঢুকিয়ে নলি কেটে হত্যা করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর ফের এদিন সকালে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্রের কোপে হত্যা করা হয়। এরপর স্বাভাবিকভাবেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷
আরও পড়ুন