কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : রোজ়ভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট । 2015 সালের 25 মার্চ গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) । কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে দীর্ঘ জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ।
রোজ়ভ্যালির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসমের বিভিন্ন জেলার কয়েক কোটি মানুষের থেকে বেআইনিভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছিল । সেই ঘটনায় 2015 সালের 2 এপ্রিল চার্জশিট দেয় পুলিশ । গৌতম কুণ্ডু, অরুণ মুখোপাধ্যায় ,আবির কণ্ডু সহ মোট নয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ ।
2015 সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু । গত বছর ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের কাছে গৌতম কুণ্ডু এবং অরুণ মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদন করেন । আবেদনে অরুণ মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী উত্তম বসাক বলেন, "অরুণ মুখোপাধ্যায় প্রায় 2 বছর 7 মাস জেলে রয়েছেন । বর্তমানে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । এই পরিস্থিতিতে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন । তাঁকে ছেড়ে দেওয়া উচিত ।"
অন্যদিকে রোজ়ভ্যালির মুখ্য অধিকর্তা গৌতম কুণ্ডুর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমার মক্কেলকে 436 CRPC-তে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । এই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে 7 বছর কারাদণ্ড । যার মধ্যে চার বছর 11 মাস জেল খাটা হয়ে গেছে । এই আইনে বলা আছে কোনও অভিযুক্তের যদি অর্ধেক কারাবাস সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে বিচারপতি অভিযুক্তকে ছেড়ে দিতে পারেন ।"
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তরফের আইনজীবী অমাজিৎ দে বলেন, "436 CRPC নিয়ে 2018 সালের এপ্রিল মাসে সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে । যদি কেউ এক কোটি টাকার বেশি প্রতারণা করে সেক্ষেত্রে জামিনের আবেদন খারিজ করতে পারেন বিচারপতি । গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে । যার গভীর সামাজিক প্রভাব রয়েছে । এই ব্যক্তিকে কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়া যায় না ।"
বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অরুণ মুখোপাধ্যায় ও গৌতম কুণ্ডুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন । বিচারপতি একইসঙ্গে জানান, রাজ্যের যে কোনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গলার ক্যানসারের চিকিৎসা করতে পারবেন অরুণ মুখোপাধ্যায় এবং সেই চিকিৎসার খরচ দিতে হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ।