কলকাতা, 26 জুলাই : জন্মগত কারণে হৃদযন্ত্রের বিরল সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিল এক শিশু । তাঁর বেঁচে থাকা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছিল । যার জন্য, 12 দিনের ওই শিশুকে আন্দামান থেকে নিয়ে আসা হয় দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে । অবশেষে, কলকাতায় চিকিৎসার পর এখন মা-বাবার সঙ্গে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে সেই শিশু ।
আন্দামানে বেসরকারি একটি সংস্থায় কাজ করেন ভোলা পাঞ্জিয়ারা । তাঁর স্ত্রী কাঞ্চনদেবী গৃহবধূ । আন্দামানে একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় । সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, শিশুর হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে । কলকাতায় এনে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন তাঁরা । গত 23 জুন, 12 দিন বয়সি শিশুকে নিয়ে আসা হয় ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ।
কলকাতার এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, জন্মগত কারণে এই শিশুর হৃদযন্ত্রে ফুটো রয়েছে । তবে এর থেকেও বেশি চিন্তার কারণ, এই শিশুর হৃদপিণ্ড উলটো দিকে রয়েছে । পালমোনারি ভালভ উলটোভাবে রয়েছে । এর ফলে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনই দূষিত ও বিশুদ্ধ রক্তের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে । গত পয়লা জুলাই অপারেশন করা হয় শিশুর । এরপর 15 দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয় শিশুকে । অবশেষে, বুধবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় তাকে ।
এই হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ রশিদ জেয়া আয়ুবি বলেন, "জন্মগত কারণে এই শিশুর হৃদযন্ত্রে ফুটো ছিল । তবে অন্য যে সমস্যাগুলি ছিল, তা বিরল । এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত 90 শতাংশ শিশুকে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয় না ।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এই শিশুটি এখন ভালো আছে । ছ'মাস পর আবার অপারেশনের প্রয়োজন ।" এই শিশুর মা কাঞ্চনদেবী বলেন, "টেনশনে ছিলাম । ছেলে এখন সুস্থ হয়ে যাওয়ায় টেনশন মুক্ত হয়েছি ।" তাঁদের সন্তানের নাম এখনও রাখা হয়নি । বাড়ি ফেরার পর নাম রাখা হবে । এই কথার পাশাপাশি কাঞ্চনদেবী জানিয়েছেন, আগামী সোমবার তাঁদের সন্তানের আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে কলকাতার এই হাসপাতালে । তারপর আন্দামানে ফিরবেন তাঁরা ।