কলকাতা, 18 ডিসেম্বর : NRC এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (CAA) নিয়ে রাজ্যজুড়ে অশান্তি অব্যাহত । তবে কলকাতায় এখনও পর্যন্ত তার প্রভাব তেমনভাবে পড়েনি । কলকাতা মূলত শান্তই । প্রশাসন বলছে, এ বিষয়ে কাজ করছে কলকাতা পুলিশের হোমওয়ার্ক । বিষয়টিতে সন্তুষ্ট নগরপালও । তার জন্য বাহিনীর প্রশংসাও করেছেন বলে সূত্রের খবর । পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, আত্মতুষ্ট হলে চলবে না । পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে ।
কলকাতা পুলিশের বিশেষ পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত শহরে অশান্তির আঁচ পড়তে দেয়নি । লালবাজারে শীর্ষ কর্তারা দফায়-দফায় কথা বলছেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে । স্পর্শকাতর এলাকায় রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর । নিজেদের ইন্টেলিজেন্সকে পুরোপুরি ব্যবহার করছে পুলিশ । তার পরেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । বিশেষ করে গতকাল আখড়া স্টেশনে যেভাবে বিক্ষোভ চলেছে,তাতে যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে কলকাতা পুলিশ । আশঙ্কা হঠাৎ হিংসা ছড়িয়ে পড়ার । আর তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সমস্ত OC, ডিভিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনার, যুগ্ম-কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারদের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন ।
কলকাতা পুলিশের এলাকার মধ্যে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কাশীপুর, বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, বড়বাজার, পার্ক সার্কাস, তিলজলা, তপসিয়া, ট্যংরা, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজকে । এখনও পর্যন্ত কলকাতার পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পরে যে কোনও সময় অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে । স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নাকা চেকিংয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । প্রয়োজনে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
স্পর্শ কাতর এলাকাগুলিতে দেওয়া হয়েছে মোবাইল পেট্রোলিংয়ের পরামর্শ । প্রয়োজনে কমিউনিটি পুলিশের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে ওসিদের । কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে । কোনও ভাবেই রাস্তা অবরোধ করতে দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে । রাস্তার উপর কোনো কিছু জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না । যতক্ষণ পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ কমবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যবস্থায় চালিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ।