কলকাতা, 3 জুলাই : কলকাতায় দ্রুত হারে বাড়ছে কোরোনার সংক্রমণ । বস্তির তুলনায় বহুতলে সংক্রমণের হার বেশি ৷ যা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের কাছে । ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে । অতি সংক্রমিত এলাকাগুলিতে ফের কড়া বিধিনিষেধ লাগুর করতে আবেদন জানানো হয়েছে । বর্তমানে কলকাতার 16টি এলাকাকে অতি সংক্রমিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
প্রথম ধাপে যে ধরনের কড়াকড়ি করা হয়েছিল, অতি সংক্রমিত এলাকাগুলিতে সেই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ ৷ বলেন, একটি বাড়িতে একজন সদস্য আক্রান্ত হলে বাড়ির ভিতরে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে জীবনযাত্রা । আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করছেন পরিবারের বাকি সদস্যরা । ফলে যেখানে আক্রান্ত একজন ছিল সেখানে কিছুদিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে 3-4 জন হয়ে যাচ্ছে । এর ফলে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে আবাসন, বহুতল ও বাড়িগুলিতে । এতদিন পর্যন্ত শুধু ওই বাড়ি ও বহুতল বাড়িগুলিকে সিল করে দেওয়া হচ্ছিল । কিন্তু এরপর থেকে শুধু বাড়ি নয়, বাড়ির সামনে রাস্তাও সিল করে দেওয়া হবে । সেই সঙ্গে সেইসব বাড়ি ফ্ল্যাট এলাকার ওপর নজরদারি চালানো হবে । সংক্রমিত বাড়ির সদস্যরা যাতে রাস্তায় বেরোতে না পারেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হবে । প্রয়োজনে বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
বর্তমানে প্রত্যেকদিন প্রায় 200 জন করে আক্রান্ত হচ্ছে কোরোনায় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বহুতল বাড়িগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বস্তিগুলোর তুলনায় । অতিমাত্রায় সংক্রমিত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে কাশিপুর, উল্টোডাঙা, শ্যামপুকুর, বাগবাজার, মানিকতলা, বেলগাছিয়া, বেলেঘাটা, বিডন স্ট্রিট, গিরিশ পার্ক, বিবেকানন্দ রোড, রামমোহন সরণি, কলেজ স্ট্রিট, তপসিয়া, টেংরা, তিলজলা, মনোহর পুকুর রোড, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট রোড, এ জে সি বোস রোড, আলিপুর, একবালপুর, মোমিনপুর সহ বহু জায়গার একাধিক এলাকা । এই সব জায়গার সংক্রমিত এলাকাগুলোকে ফের সিল করে দিয়ে কড়া নজরদারি শুরু হতে চলেছে ।