কলকাতা, 13 জুন: বেহাল অবস্থা কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগারের ৷ আয়ের থেকে ব্যয় বেশি । কখনও পেনশন আবার কখনও গ্র্যাচুইটি পেতে দেরি হওয়ার অভিযোগ । কোথাও অর্থের অভাবে দেরি হচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজেও । এত ঝামেলার মাঝে কর্তৃপক্ষের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বড় অঙ্কে টাকার ভাতা প্রদান । বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিক, কর্মীদের প্রাপ্য ভাতা পুনর্মূল্যায়ন করেই গত অর্থবর্ষে প্রায় 30 কোটি টাকা সাশ্রয় করল কলকাতা পৌরনিগম ।
পৌরনিগম সূত্রে খবর, কর্পোরেশনের বেশ কয়েকটির বিভাগের কর্মীদের একাধিক খাতে ভাতা দিতে হয় । এই বিভাগগুলোর মধ্যে আছে জল সরবরাহ বিভাগ, জঞ্জাল সাফাই বিভাগ, নিকাশি বিভাগের মত কয়েকটি বিভাগ । এই বিভাগের কর্মীদের ভাতা দিতেই মাসে খরচ হচ্ছিল কমবেশি ছ’কোটি টাকা ।
যার কারণে কোষাগারে সঙ্কট দেখা দিয়েছিল ৷ এই বিপুল টাকা শেষ কয়েক বছর দিতে পারেনি কর্পোরেশন । আর্থিক সঙ্কটের কারণে ভাতা পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে । সিদ্ধান্ত হয়, টিফিন, হোলি-ডে ভাতা সব মিলিয়ে কর্মী পিছু সর্বোচ্চ দু’ হাজার 500 টাকা পাবেন কর্মীরা । উল্লেখ্য এই ভাতা পেয়ে থাকেন মূলত গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা ।
মজুদরদের দেওয়া দৈনিকভাতা হিসাবে দেওয়া হয় 400 টাকা ৷ আর বাকি কর্মীদের দেওয়া হয় 100 টাকা । সব মিলিয়ে মাসে কোনও ভাবেই সেই টাকার অঙ্ক আড়াই হাজার টাকার বেশি হয় না ৷ এই প্রসঙ্গেই এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নাগরিকদের স্বার্থেই ভাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : এক যন্ত্রে মাপা যাবে সব জ্বালানির দূষণ, অত্যাধুনিক যন্ত্র দিচ্ছে পৌরনিগম
উল্লেখ্য, 2019-2020 আর্থিক বছরে এই ভাতা বাবদ কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগার থেকে খরচ হয়েছিল 54 কোটি টাকা ৷ 2020-2021, 2021-2022 এই দুই অর্থবর্ষে এই খাতে টাকা দিতে পারেনি কর্পোরেশন । 2022-2023 অর্থবর্ষে পুনর্মূল্যায়নের পর 24 কোটি খরচ হয়েছে ভাতা বাবাদ । ফলে 30 কোটি কোষাগারে থেকেছে । আগামী অর্থবর্ষে 20-22 কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷