কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: মিউটেশন করতে গিয়ে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হয় নাগরিকদের ৷ কখনও কখনও বছর খানেকও কেটে যায় । বাড়ির নকশা অনুমোদন নিয়েও গড়িমসি করার অভিযোগ কম নয় । জঞ্জাল সাফাই হোক বা রাস্তা সারাই লাল ফিতের ফাঁসে দিনের পর দিন আটকে থাকে । পরিষেবা পেতে নাজেহাল নাগরিককে কাঠখড় পোড়াতে হয় । তাই নাগরিকদের হয়রানি কমাতে কর্মী আধিকারিকদের আরও সক্রিয় হয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা কর্পোরেশন (Kolkata Municipal Corporation)।
মঙ্গলবার পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন নাগরিকদের সুবিধার্থে (Kolkata Corporation orders)। তবে নির্দিষ্ট করে কাজের কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। নির্দেশিকাতেই তিনি জানান, বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন হোক কিংবা মিউটেশন, যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে হবে । না হলে কৈফিয়ৎ তলব করবে কর্তৃপক্ষ । প্রয়োজনে সাসপেন্ড করা হতে পারে দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিককে ।
এদিনের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে হবে । বিল্ডিং প্ল্যান থেকে শুরু করে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদান, সম্পত্তির কর মূল্যায়ন, মিউটেশনের কাজে গা-ছাড়া মনোভাব যাতে না দেখানো যাবে না । বিভাগীয় প্রধানদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ।
'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে অভিযোগ ছাপিয়ে গিয়েছে মিউটেশন বা এসেসমেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগ । এরপরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "যারা ঢিলেমি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এর আগে সেই নির্দেশ মাফিক দীর্ঘ দিন ফাইল ফেলে রাখার অভিযোগে তিন কর্মীকে শো-কজ করা হয় । পরে সাসপেন্ড করা হয় । তবে তার পরেও গা ছাড়া মনোভাব কমেনি । "
আরও পড়ুন: তৎপর কর্পোরেশন, রক্সি সিনেমার নীচে সিল করা হল 13টি দোকান
এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, "বিল্ডিং প্ল্যান, অ্যাসেসমেন্ট বা মিউটেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা থাকে । সেগুলো সমাধান করতে সময় লাগে । তবে বহু ক্ষেত্রে কর্মী আধিকারিকদের ঢিলেমির জেরে অনেক সময় পড়ে থাকে ফাইল। জটিলতার ক্ষেত্রে মাস খানেক বা দু‘তিন মাস দেরি হতে পারে ৷ কিন্তু বছর ঘুরে যাবে তেমনটা কাঙ্ক্ষিত নয় । এমন হওয়ার কথা নয় । নির্দেশিকা জারি হয়েছে ঢিলেমি কমবে । অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে দেরির কারণ । প্রথমে কারণ জানতে চাওয়া হবে । তারপরও কাজ না-হলে প্রয়োজন হলে সাসপেন্ড করা হবে ।"