কলকাতা, 18 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে একচ্ছত্র জয় শাসকদলের ৷ আবার সামনেই 21 জুলাই ৷ সেই মঞ্চ থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের জয় উদযাপন করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আর 21 জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় আসবেন লক্ষ লক্ষ তৃণমূল সমর্থক। এই বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স, পানীয় জল, আবর্জনা সাফাই, পর্যাপ্ত শৌচালয়ের ব্যবস্থা করবে কলকাতা পৌরনিগম ৷ সমাবেশ শেষে সভাস্থল সাফ করা গুরুদায়িত্ব থাকে এই কলকাতা কর্পোরেশনের উপর। এ বছর সভা শেষের 40 মিনিটের মধ্যে এই বছর পরিষ্কার হয়ে যাবে সভাস্থল ৷
এই সব কাজের জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে ৷ যে দলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছড়াও উপস্থিত থাকবেন যাদবপুর বিধানসভার বিধায়ক ও কর্পোরেশনের জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার, রাসবিহারী এলাকার বিধায়ক ও উদ্যান বিভাগের মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার ও মেয়র পরিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার ।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের শাসক দলের মহা সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে যে সকল কর্মী-সমর্থকেরা আসবেন তাঁদের জন্য শহর জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে পানীয় জলের গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে । শিয়ালদা স্টেশন, এসএন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও ময়দান লাগোয়া এলাকায় একাধিক জায়গায় পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হবে । এছাড়াও জলের ছোট ছোট পাউচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় থাকা সুলভ শৌচালয় দু’দিন ধরে খোলা রাখা হবে । ধর্মতলার যে সমস্ত সুলভ শৌচালয় আছে সেগুলিও খোলা থাকবে ৷ পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শৌচালয় বসানো হচ্ছে ৷ থাকছে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা ৷ প্রত্যেকটি রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হচ্ছে জঞ্জাল ফেলার বিন ৷
আরও পড়ুন: শহর জুড়ে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য ! মহামারীর আশঙ্কা করছেন মেয়র
এই বিষয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পরিষদ সদস্য (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার জানান, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মঞ্চ থেকে শুরু করে আশেপাশের এলাকা কঠিন বর্জ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জীবাণুমুক্ত করা হবে সমাবেশের আগে ও পরে ৷ সমাবেশ স্থল পরিষ্কার করে আশপাশের চত্ত্বরে ছড়ানো হবে চুন ও ব্লিচিং পাউডার । এবারে সভা শেষের 40 মিনিটের মধ্যে জঞ্জাল সাফাই হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : সাবধানবাণীতে হয়নি কাজ ! বাড়িতে মশার লার্ভা মিললেই লাখ টাকা জরিমানা
এক আধিকারিকের কথায়, এমন বড় সমাবেশে বিপুল সংখ্যায় মানুষজন আসবেন। আবর্জনা হবে প্রচুর। সমাবেশ শেষে ভিড় কমতে শুরু করলেই শুরু হবে সাফাই অভিযান ৷ শুধু ধর্মতলা নয়, ময়দান, পার্কস্ট্রিট, এজেসি বোস রোড, সিআইটি বা বিধান সরণি-সহ আশপাশের সব এলাকায় চলবে সাফাই অভিযান ৷ সেই আবর্জনা ছোট ব্যাটারি চালিত গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হবে স্থানীয় কম্প্যাক্টর স্টেশনে ৷ সেখান থেকে বড় ট্রাকে নিয়ম মাফিক ধাপায় ফেলা হবে ৷ দ্রুত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য জঞ্জাল সাফাই বিভাগের প্রায় কয়েক হাজার কর্মীকে কাজে লাগানো হবে ।