ETV Bharat / state

KMDA's Encroached Land: ইএম বাইপাসে জবরদখল জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু কেএমডিএ’র - জমি জবরদখল

দীর্ঘদিন ধরে ই এম বাইপাসের পাশে কেএমডিএ এর বহু জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে (KMDA's Encroached Land) ৷ এবার সেই জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ার শুরু করেছে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি ৷

KMDA's Encroached Land ETV BHARAT
KMDA's Encroached Land
author img

By

Published : Feb 21, 2023, 6:06 PM IST

কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: দোতলা বাড়ি, সামনে দোকান ৷ আবার কোথাও কাচের মোড়কে রেস্তোরাঁ ৷ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে এভাবেই একের পর এক কেএমডি-এর জমি দখল করে দোকান, বাড়ি, পানশালা ও রেস্তোরাঁ মাথা তুলেছে ৷ এবার সেই সব দখল হাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ (KMDA will Recovers Encroached Land) ৷ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (Kolkata Metropolitan Development Authority) সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে এমন প্রায় 50টি’র বেশি জমি জবরদখল মুক্ত করা হবে ৷ এরপর বাকি বেশ কয়েক ধাপে বাকি দখল হওয়া জমিও পুনরুদ্ধার করা হবে ৷

ইএম বাইপাসের দু-পাশে প্রচুর জলাজমি ছাড়াও আছে কেএমডিএ-র জমি ৷ আর সেই জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হয়েছে ৷ এমনকি গত বাম আমলে ও বর্তমান শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে এই দখলদারিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বাইপাসের ধারের জমিগুলি জবরদখল হয়েছে ৷ বাইপাসের আশেপাশের এলাকায় কানপাতলে শোনা যায়, শাসকদলের স্থানীয় নেতারা 50 হাজার, 1 লাখ বা 2 লাখ টাকার বিনিময়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দখলদার বসিয়েছে ৷

পরবর্তী সময়ে তারাই সেখানে একতলা বা দোতলা বাড়ি তুলেছে ৷ আবার সময় যত এগিয়েছে পরিবর্তন হয়েছে সেই কর্মকাণ্ডের ৷ এখন উঠছে বহুতল ৷ সেখানে লক্ষ-কোটির মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এক একটি ফ্ল্যাট ৷ গড়ে উঠছে হোটেল, পানশালা ও রেস্তোরাঁ ৷ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাচ্ছে আর্থিক লেনদেন ৷ অবাক হলেও সেটাই সত্যি ৷ কিন্তু, এসব জমির জমির মালিক অর্থাৎ কেএমডিএ একটি টাকাও পাচ্ছে না ৷ উলটে জনবসতি গড়ে ওঠায় সরকারের তহবিল থেকে রাস্তা, জল, আলো-সহ নানা পরিষেবা দিতে হচ্ছে ৷

এবার আর ছেড়ে কথা নয় ৷ নিজেদের জমি কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ ৷ দখলদারের বিরুদ্ধে কসবা ও পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ এই দুই এলাকা ছাড়াও আশেপাশের বহু জমি বেদখল হয়েছে ৷ সেই জমিও পুনরুদ্ধারে নামবে বলেই পরিকল্পনা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ৷ কেএমডিএ আইন অনুযায়ী, কোনও জমি কাউকে শিল্প বা বাসস্থান তৈরির জন্য দেওয়া হয় ৷ তবে, সেখানে যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিছু না করা হয় ৷ তাহলে কেএমডিএ-র আইন বলে জমি নিজেদের দখলে নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ ৷ এমন প্রায় 200-র বেশি প্লটের তালিকা করেছে কেএমডিএ ৷ সঙ্গে ছোট মাপের জমিগুলো ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চিন্তাভাবনা আছে তাদের ৷ এর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷

আরও পড়ুন: আসানসোল পৌরনিগমের নিয়ন্ত্রণ যাবে কেএমডিএ-এর হাতে! অভিযোগ জিতেন্দ্রর

সম্প্রতি জবরদখল হওয়া, হাত বদল বা ফাঁকা জমির সব রিপোর্ট নিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে ৷ সেই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম নিজে ৷ সংস্থার আওতাধীন জমির মূল্যায়ণ দ্রুত শেষ করার সঙ্গে, বেআইনি দখল মুক্ত করে জমি নিজেদের আওতায় আনার নির্দেশ দেন তিনি ৷ কেএমডিএ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেকেই সঙ্গত কারণ দেখিয়ে জমি নিয়েছিল ৷ কিন্তু, দীর্ঘ কয়েক বছর কেটে গেলেও, জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ৷

জমি পাওয়া এমন লোকজনকে প্রথমে আইনি চিঠি পাঠানো হবে ৷ কেন জমি ফেলে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে ৷ সদুত্তর না মিললে, জমি ফেরত নেওয়ার পথে হাটবে কেএমডিএ ৷ এক্ষেত্রে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টিও দেখছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ৷

কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: দোতলা বাড়ি, সামনে দোকান ৷ আবার কোথাও কাচের মোড়কে রেস্তোরাঁ ৷ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে এভাবেই একের পর এক কেএমডি-এর জমি দখল করে দোকান, বাড়ি, পানশালা ও রেস্তোরাঁ মাথা তুলেছে ৷ এবার সেই সব দখল হাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ (KMDA will Recovers Encroached Land) ৷ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (Kolkata Metropolitan Development Authority) সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে এমন প্রায় 50টি’র বেশি জমি জবরদখল মুক্ত করা হবে ৷ এরপর বাকি বেশ কয়েক ধাপে বাকি দখল হওয়া জমিও পুনরুদ্ধার করা হবে ৷

ইএম বাইপাসের দু-পাশে প্রচুর জলাজমি ছাড়াও আছে কেএমডিএ-র জমি ৷ আর সেই জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হয়েছে ৷ এমনকি গত বাম আমলে ও বর্তমান শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে এই দখলদারিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বাইপাসের ধারের জমিগুলি জবরদখল হয়েছে ৷ বাইপাসের আশেপাশের এলাকায় কানপাতলে শোনা যায়, শাসকদলের স্থানীয় নেতারা 50 হাজার, 1 লাখ বা 2 লাখ টাকার বিনিময়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দখলদার বসিয়েছে ৷

পরবর্তী সময়ে তারাই সেখানে একতলা বা দোতলা বাড়ি তুলেছে ৷ আবার সময় যত এগিয়েছে পরিবর্তন হয়েছে সেই কর্মকাণ্ডের ৷ এখন উঠছে বহুতল ৷ সেখানে লক্ষ-কোটির মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এক একটি ফ্ল্যাট ৷ গড়ে উঠছে হোটেল, পানশালা ও রেস্তোরাঁ ৷ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাচ্ছে আর্থিক লেনদেন ৷ অবাক হলেও সেটাই সত্যি ৷ কিন্তু, এসব জমির জমির মালিক অর্থাৎ কেএমডিএ একটি টাকাও পাচ্ছে না ৷ উলটে জনবসতি গড়ে ওঠায় সরকারের তহবিল থেকে রাস্তা, জল, আলো-সহ নানা পরিষেবা দিতে হচ্ছে ৷

এবার আর ছেড়ে কথা নয় ৷ নিজেদের জমি কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ ৷ দখলদারের বিরুদ্ধে কসবা ও পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ এই দুই এলাকা ছাড়াও আশেপাশের বহু জমি বেদখল হয়েছে ৷ সেই জমিও পুনরুদ্ধারে নামবে বলেই পরিকল্পনা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ৷ কেএমডিএ আইন অনুযায়ী, কোনও জমি কাউকে শিল্প বা বাসস্থান তৈরির জন্য দেওয়া হয় ৷ তবে, সেখানে যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিছু না করা হয় ৷ তাহলে কেএমডিএ-র আইন বলে জমি নিজেদের দখলে নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ ৷ এমন প্রায় 200-র বেশি প্লটের তালিকা করেছে কেএমডিএ ৷ সঙ্গে ছোট মাপের জমিগুলো ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চিন্তাভাবনা আছে তাদের ৷ এর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷

আরও পড়ুন: আসানসোল পৌরনিগমের নিয়ন্ত্রণ যাবে কেএমডিএ-এর হাতে! অভিযোগ জিতেন্দ্রর

সম্প্রতি জবরদখল হওয়া, হাত বদল বা ফাঁকা জমির সব রিপোর্ট নিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে ৷ সেই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম নিজে ৷ সংস্থার আওতাধীন জমির মূল্যায়ণ দ্রুত শেষ করার সঙ্গে, বেআইনি দখল মুক্ত করে জমি নিজেদের আওতায় আনার নির্দেশ দেন তিনি ৷ কেএমডিএ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেকেই সঙ্গত কারণ দেখিয়ে জমি নিয়েছিল ৷ কিন্তু, দীর্ঘ কয়েক বছর কেটে গেলেও, জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ৷

জমি পাওয়া এমন লোকজনকে প্রথমে আইনি চিঠি পাঠানো হবে ৷ কেন জমি ফেলে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে ৷ সদুত্তর না মিললে, জমি ফেরত নেওয়ার পথে হাটবে কেএমডিএ ৷ এক্ষেত্রে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টিও দেখছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.