কলকাতা, 26 জুলাই: আসছে পুজো ৷ আর তার আগেই শহরকে আবর্জনা থেকে মুক্ত করতে কলকাতা পৌরনিগম নিচ্ছে নয়া পদক্ষেপ ৷ শহরের চারিদিকে চোখে পড়বে নীল-সবুজ রঙের আবর্জনার বিন (KMC Will Take Initiative to Make Kolkata Free from Garbage) ৷
রাস্তার ধারে, বাজার এলাকায় বা উদ্যানে রাখা থাকবে নীল-সবুজ ডাস্টবিন। উদ্দেশ্য উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ। বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতার হাতে গোনা কিছু ওয়ার্ডে এই প্রকল্প শুরু হলেও এবার পুজোর আগে কলকাতার প্রতি ওয়ার্ডে এই প্রকল্প রূপায়ণ করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম।
বাড়ি থেকেই জঞ্জাল সংগ্রহের সময় পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে পৌরনিগম। প্রতি ওয়ার্ডে প্রতি পরিবারকে দেওয়া হবে নীল এবং সবুজ রঙের দু'টি বালতি। বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, রাস্তার ধারে বসানো হবে এই দুই রংয়ের দু'টি ডাস্টবিন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মাপের প্রায় 38 লক্ষ বালতিও কিনছে পৌরনিগম।
ইতিমধ্যে সেই বরাত দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরের আগেই সারা শহরে পুরোদমে এই ব্যবস্থা চালু করাই কর্তৃপক্ষর একমাত্র লক্ষ্য। বালতি দেওয়ার সঙ্গেই জোর কদমে চলবে নাগরিকদের সচেতন করার কাজ। বর্তমানে শহরের মাত্র 27টি ওয়ার্ডে এই পদ্ধতিতে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হয়। পচনশীল আবর্জনার জন্য সবুজ বালতি এবং অপচনশীল, পুনর্নবীকরণযোগ্য আবর্জনা নীল বালতিতে সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন: মেট্রো স্টেশনে চায়ের স্টল; মিলবে ভিন্ন স্বাদের চা ও কফি
পচনশীল জঞ্জাল সার তৈরি করা হবে। প্লাস্টিক-সহ অন্যান্য আবর্জনা থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী তৈরি হয়। বড় আবাসনে কম্পোস্ট মেশিন রাখার ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যে কড়াকড়ি শুরু করেছে পৌরনিগম। বাড়িতে যে বালতি দেওয়া হবে তার পরিমাপ 10 লিটারের। ময়লার গাড়িতে ব্যবহারের জন্য 40 লিটারের। রাস্তার ধারে রাখার জন্য 240 লিটারের বড় ডাস্টবিন কেনা হচ্ছে।