কলকাতা, 18 নভেম্বর: কলকাতার বড় আবাসনে থাকেন? খোঁজ নিন আবাসনের সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ঠিকভাবে কাজ করছে তো? না-করলেই বিপদ। দূষণ ঠেকাতে এবার কড়া নজরদারি শুরু করছে কলকাতা কর্পোরেশন ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যৌথ দল। ইতিমধ্যে প্রচুর সংখ্যক ফ্ল্যাট আছে কলকাতার এমন 50টি বড় আবাসনের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে এই যৌথ বাহিনী। সেখানে একে একে হানা দেবেন তারা। হাল-হকিকত খতিয়ে দেখবেন। বড় বড় আবাসনে পরিবেশ বিধি মানা হচ্ছে তো? খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে সর্তক করা থেকে আইনি পদক্ষেপ বা বিপুল জরিমানা করার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি বাইপাসের একটি বড় আবাসনের সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বা এসটিপি থেকে অনবরত জল বেরোতে থাকে। সেই জল গালিপিট দিয়ে গিয়ে পড়ে কলকাতা কর্পোরেশন ভূগর্ভস্থ ড্রেনে। সেখান থেকে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোতে থাকে বলে অভিযোগ। দুর্গন্ধ এতটা যে গোটা এলাকা টেকা দায় হয়ে পড়ে। এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতা পৌরনিগমের নিকাশি বিভাগে। দূষণ পর্ষদও বিষয়টি জানতে পারে। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, পরিবেশ বিধি মেনে ওই আবাসনে এসটিপি তৈরি হলেও দীর্ঘদিন সেটা রক্ষণাবেক্ষণ অভাবে খারাপ। সঠিকভাবে কাজ করছে না। সেদিকে কারও নজর নেই।
এরপরেই নড়ে চড়ে বসে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কলকাতা কর্পোরেশন। তারা ঠিক করে কলকাতার আবাসনগুলোয় পরিবেশ বিধি মেনে এসটিপি করেছে কি না, বা করলেও দেখভাল সঠিকভাবে করছে কি না, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পরিদর্শনের জন্য তৈরি হয়েছে যৌথ প্রতিনিধি দল। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক কর্মীদের সঙ্গে থাকবেন কলকাতা কর্পোরেশন নিকাশি বিভাগের কর্মীরাও। থাকবেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররাও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নোটিশ দিয়ে তাঁরা সতর্ক করবেন ৷
আবাসনের কোনওকিছু মেরামত করতে হলে তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও ঠিক করে পৌরনিগম। তার মধ্যে কাজ না-হলে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ বা জরিমানার পথে হাঁটা হবে। এই প্রসঙ্গে, কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, "দ্রুত শুরু হবে এই যৌথ অভিযান। এসটিপি খারাপ থাকলে সুয়ারেজ জল সঠিকভাবে ট্রিটমেন্ট হবে না। ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত জল কর্পোরেশনের ড্রেন মারফত খালে পড়বে আর দূষণ ছড়াবে। এটা বন্ধ করতেই বিভিন্ন আবাসনে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে 50টি বড় আবাসন হানা দেব আমরা।"
আরও পড়ুন: