কলকাতা, 29 জানুয়ারি: মহানগরের একটা বড় অংশ ঠিকা জমি। ছোট-বড় বস্তি থেকে বহুতল সবই ঠিকা জমির উপরেই। আর ঠিকা জমি নিয়েই সমস্যার শেষ থাকে না। নাগরিক অভিযোগও গুচ্ছ গুচ্ছ। সমস্যা মেটাতে ঠিকা কম্পট্রোলার অফিস তুলে কলকাতা কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ভবনে করা হয়, তবু সুরাহা মিলছে না। এবার কলকাতা কর্পোরেশন নিজেই ঠিকা সেল খুলবে। যাদের কাছে নাগরিকরা কাগজ জমা করবেন তাঁরাই সরকারের ঠিকা কম্পট্রোলার থেকে যাবতীয় অনুমোদন এনে দেবে নাগরিকদের। এই সেল দ্রুত তৈরি করার জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের বিশেষ কমিশনার সোমনাথ দে'কে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আগেই ঠিকা প্রজাদের স্বার্থে নতুন করে ঠিকা আইনে সংশোধনের পথে পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। ঠিকা জমিতে বসবাসকারী ঠিকা প্রজা এবং ভাড়াটিয়ার স্বার্থরক্ষা করেই ওই জমি সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপরে ঠিকা জমিতে নির্মাণ নিয়ম সরলীকরণ করে কলকাতা কর্পোরেশন। কর্পোরেশনের নিয়ম অনুসারেই ঠিকা প্রজারা বাড়ি তুলতে পারবেন। দোতলার উপরে বাড়ি তৈরির অনুমতি ছিল না এখন সেই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পৌরআইন মেনে ফ্ল্যাট তুললে তবেই মিলবে সিসি, আবাসনে নির্মাণে আরও কড়া কেএমসি
এতকিছুর পরেও সমস্যা যেন মিটছে না। ফের ঠিকা জমির সমস্যা নিয়ে অভিযোগ আসতে শুরু করে। তাই দ্রুত সেল গঠনের নির্দেশ মেয়রের।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয় জানান, ঠিকা এখন থেকে কলকাতা পৌরসভার সেল দেখবে। একজন ডেপুটি কম্পট্রোলার রয়েছেন। দ্রুত সেল তৈরি করবে বিশেষ কমিশনার সোমনাথবাবু। আইন খতিয়ে দেখতে বলেছেন কমিশনারকে। যাতে স্ট্রেট 3 অ্যাপ্লাই করা যায় এবং পুরো কাজ যাতে 15 দিনের মধ্যে হয়ে যায়। সমস্ত বরোকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বস্তির মধ্যে ঠিকা জমিতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। উল্লেখ্য, বর্তমানে শহরে প্রায় দু'হাজার একরের বেশি জমি ঠিকা আওতায় রয়েছে। এখন আবেদন জানালে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় পৌরসভাই। দু'হাজারের বেশি জমি ঠিকা প্রজা রয়েছে। কলকাতা কর্পোরেশনে এই ঠিকা জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য 1 লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।