কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: কর্পোরেশনের হাঁকডাকই সার, এমনকী হুঁশিয়ারি দিয়েও মিলছে না ফল । যথেচ্ছভাবে বেআইনি হোর্ডিং ও ব্যানারে মুখ ঢাকছে শহর । এই সমস্ত বড়বড় হোর্ডিং যে সমস্ত রাসায়নিক দিয়ে তৈরি হয় তার ক্ষতিকর প্রভাবে বায়ুদূষণ, মাটি দূষণ কি না হয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় এবার নয়া পদক্ষেপ কলকাতা কর্পোরেশনের । প্রযুক্তি ব্যবহারে রুখবে বেআইনি হোর্ডিং রমরমা । সবুজ বাজির মতই এবার অনুমতিপ্রাপ্ত হোর্ডিং-ব্যানারে দেওয়া হবে কিউআর কোড । যাতে সংস্থার নাম ঠিকানা, লাইসেন্স নম্বর থেকে শুরু করে কতদিনের জন্য ওই হোর্ডিংয়ের মেয়াদ থাকছে তার খুঁটিনাটি সবটাই থাকবে । এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদের বক্তব্য,"পুর কমিশনার বিনোদ কুমার এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবেন। কিউ আর কোড চালু হলে মুহূর্তে আমরা চিহ্নিত করতে পারব । দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।" তবে, অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে টালবাহানায় আটকে রয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের নয়া বিজ্ঞাপন নীতি। ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে । আগামী অর্থবর্ষ থেকে কার্যকরী হবে নয়া বিজ্ঞাপন নীতি।
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, নয়া ব্যবস্থায় সময় উত্তীর্ণ হলে সেই সংস্থাকে নোটিশ বা জরিমানা করা যাবে । কিউআর কোড দেখে বোঝা যাবে সেটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে বসানো হয়েছে কি না, অনুমতি নিলে তা কতদিনের জন্য। সেই অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বিভাগীয় আধিকারিকরা, ফলে হোর্ডিং অভিযানে কোনও জটিলতা থাকবে না ৷ আরও জানা গিয়েছে, নতুন বিজ্ঞাপন নীতির কাজও এখন শেষের মুখে । চলতি বর্ষে মেয়র পারিষদ বৈঠক ও বাজেট অধিবেশনে তা পাশ করানো হতে পারে ।
আরও পড়ুন: