ETV Bharat / state

কর ফাঁকি আটকাতে কড়া পৌরনিগম, কলকাতায় বাড়ছে বাণিজ্যিক জোনের সংখ্যা - বাণিজ্যিক কর

KMC Commercial Zone: বাণিজ্যিক কর ফাঁকি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পৌরনিগমের ৷ মহানগরে বাড়ছে বাণিজ্যিক জোনের সংখ্যা ৷ এতে আয় বাড়বে বলে আশা পৌর কর্তৃপক্ষের ৷

KMC
কলকাতা পৌরনিগম
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 2, 2023, 4:28 PM IST

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: মহানগরে বাড়ছে বাণিজ্যিক জোনের সংখ্যা । এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম । 141টি থেকে বাড়িয়ে জোনের সংখ্যা করা হচ্ছে 690 ।

কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিকের কথায়, বাণিজ্যিক জোন 141টি থেকে বাড়িয়ে করা হল 690টি । এই এলাকাগুলোয় কোনও কিছু করতে হলে বাণিজ্যিক কর দিতে হবে শুরু থেকেই । এখন কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কেস ধরে করতে হচ্ছে । আগামিদিনে শুরু থেকেই সিস্টেমে বাণিজ্যিক কর দিতে বাধ্য থাকবেন বাড়ির মালিকরা । আবাসিক ভবনের অনুমতি দিলে যে টাকা আয় হয় বাণিজ্যিক ভবনের তার কয়েক গুণ বেশি আয় হবে । লাইসেন্স বিভাগের তরফে বেশ কয়েক বছর যাবৎ তথ্য সংগ্রহ করেছে বিল্ডিং বিভাগ ও সম্পত্তি কর বিভাগ । সেই সব তথ্য বিচার করে জোন ঠিক করা হয়েছে ।

কলকাতায় বহু পুরনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে ৷ যেগুলি গুদাম, দোকান, কারখানা এই ধরনের নানা বাণিজ্যিক কাজে ভাড়া দিয়ে মাসান্তে মোটা টাকা আয় করেন মালিকপক্ষ । কিন্তু তার সম্পত্তি আবাসিক হওয়ায় তাদের সম্পত্তি কর বাবদ নামমাত্র টাকা গুনতে হয় । অর্থাৎ বাণিজ্যিক কর বেমালুম ফাঁকি দেন বড় অংশের বাড়ির বা ফ্ল্যাটের মালিক । ফলে প্রতি বছর বিপুল টাকা কর বাবদ আয় থেকে বঞ্চিত হয় কলকাতা পৌরনিগম । এবার সেই বাণিজ্যিক কর ফাঁকির দিন শেষ হতে চলেছে । নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে পৌরনিগম ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, বড় বাজার, চাঁদনি, নিউ মার্কেট, গড়িয়া, হাতিবাগানের মত 141টি এলাকা আছে, যেগুলো কলকাতা পৌরনিগমোর তালিকায় বাণিজ্যিক জোন হিসেবে নথিভুক্ত । বড়বাজার লাগোয়া কিছু এলাকা, শিয়ালদা, উলটোডাঙা লাগোয়া এলাকা, দক্ষিণে রাসবিহারী-সহ এই সমস্ত এলাকায় বছর 10 আগেও হাতেগোনা অফিস, দোকান, মেস, কারখানা ও গুদাম ছিল । তবে এখন আবাসিক বাড়ির নীচতলা বা অন্য তলাগুলো বাণিজ্যিক কাজে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে, যা পৌর আইন মোতাবেক সম্পূর্ণ বেআইনি । হাতেগোনা দু-একটা নয়, সংখ্যাটা কলকাতাজুড়ে অনেক ।

জানা গিয়েছে, রাতারাতি এদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া সমস্যার বিষয় পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে । বাণিজ্যিক কর ফাঁকি দিয়ে দেদার রোজগার করলেও পৌরনিগম কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মামলার পথে হেঁটে দীর্ঘমেয়াদিভাবে কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে নিস্তার পাচ্ছেন কর ফাঁকি দেওয়া নাগরিকরা । এই প্রবণতা কমাতে এবার ময়দানে নামল কলকাতা পৌরনিগম । আইনিভাবে তাই বাণিজ্যিক জোন বাড়িয়ে দেওয়ার পথে হাঁটল কর্তৃপক্ষ ।

আরও পড়ুন:

  1. 2000 বর্গ মিটারের বেশি নির্মাণ হলেই গুনতে হবে পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামো ও উন্নয়ন কর
  2. কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কড়া পৌরনিগম, খেলাপির সম্পত্তি নিলামে 19 কোটি কোষাগারে!
  3. করদাতাদের জন্য সুখবর, জোকার তিনটি ওয়ার্ডের সম্পত্তি কর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা কর্পোরেশনের

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: মহানগরে বাড়ছে বাণিজ্যিক জোনের সংখ্যা । এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম । 141টি থেকে বাড়িয়ে জোনের সংখ্যা করা হচ্ছে 690 ।

কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিকের কথায়, বাণিজ্যিক জোন 141টি থেকে বাড়িয়ে করা হল 690টি । এই এলাকাগুলোয় কোনও কিছু করতে হলে বাণিজ্যিক কর দিতে হবে শুরু থেকেই । এখন কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কেস ধরে করতে হচ্ছে । আগামিদিনে শুরু থেকেই সিস্টেমে বাণিজ্যিক কর দিতে বাধ্য থাকবেন বাড়ির মালিকরা । আবাসিক ভবনের অনুমতি দিলে যে টাকা আয় হয় বাণিজ্যিক ভবনের তার কয়েক গুণ বেশি আয় হবে । লাইসেন্স বিভাগের তরফে বেশ কয়েক বছর যাবৎ তথ্য সংগ্রহ করেছে বিল্ডিং বিভাগ ও সম্পত্তি কর বিভাগ । সেই সব তথ্য বিচার করে জোন ঠিক করা হয়েছে ।

কলকাতায় বহু পুরনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে ৷ যেগুলি গুদাম, দোকান, কারখানা এই ধরনের নানা বাণিজ্যিক কাজে ভাড়া দিয়ে মাসান্তে মোটা টাকা আয় করেন মালিকপক্ষ । কিন্তু তার সম্পত্তি আবাসিক হওয়ায় তাদের সম্পত্তি কর বাবদ নামমাত্র টাকা গুনতে হয় । অর্থাৎ বাণিজ্যিক কর বেমালুম ফাঁকি দেন বড় অংশের বাড়ির বা ফ্ল্যাটের মালিক । ফলে প্রতি বছর বিপুল টাকা কর বাবদ আয় থেকে বঞ্চিত হয় কলকাতা পৌরনিগম । এবার সেই বাণিজ্যিক কর ফাঁকির দিন শেষ হতে চলেছে । নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে পৌরনিগম ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, বড় বাজার, চাঁদনি, নিউ মার্কেট, গড়িয়া, হাতিবাগানের মত 141টি এলাকা আছে, যেগুলো কলকাতা পৌরনিগমোর তালিকায় বাণিজ্যিক জোন হিসেবে নথিভুক্ত । বড়বাজার লাগোয়া কিছু এলাকা, শিয়ালদা, উলটোডাঙা লাগোয়া এলাকা, দক্ষিণে রাসবিহারী-সহ এই সমস্ত এলাকায় বছর 10 আগেও হাতেগোনা অফিস, দোকান, মেস, কারখানা ও গুদাম ছিল । তবে এখন আবাসিক বাড়ির নীচতলা বা অন্য তলাগুলো বাণিজ্যিক কাজে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে, যা পৌর আইন মোতাবেক সম্পূর্ণ বেআইনি । হাতেগোনা দু-একটা নয়, সংখ্যাটা কলকাতাজুড়ে অনেক ।

জানা গিয়েছে, রাতারাতি এদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া সমস্যার বিষয় পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে । বাণিজ্যিক কর ফাঁকি দিয়ে দেদার রোজগার করলেও পৌরনিগম কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মামলার পথে হেঁটে দীর্ঘমেয়াদিভাবে কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে নিস্তার পাচ্ছেন কর ফাঁকি দেওয়া নাগরিকরা । এই প্রবণতা কমাতে এবার ময়দানে নামল কলকাতা পৌরনিগম । আইনিভাবে তাই বাণিজ্যিক জোন বাড়িয়ে দেওয়ার পথে হাঁটল কর্তৃপক্ষ ।

আরও পড়ুন:

  1. 2000 বর্গ মিটারের বেশি নির্মাণ হলেই গুনতে হবে পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামো ও উন্নয়ন কর
  2. কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কড়া পৌরনিগম, খেলাপির সম্পত্তি নিলামে 19 কোটি কোষাগারে!
  3. করদাতাদের জন্য সুখবর, জোকার তিনটি ওয়ার্ডের সম্পত্তি কর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা কর্পোরেশনের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.