কলকাতা, 10 মার্চ : মহানগরী থেকে জঞ্জাল পৃথকীকরণের থমকে যাওয়া প্রকল্পের চাকা ফের ঘুরতে চলেছে ৷ কয়েকটি ওয়ার্ডের উৎস থেকে জঞ্জাল পৃথকীকরণ শুরু হলেও অচিরেই থমকে গিয়েছিল কাজ । আর তার প্রভাব পড়েছে ধাপায় । কারণ একদিকে উৎস থেকে আলাদা করে জঞ্জাল ফেলায় যে খরচ তার থেকে অনেক বেশি খরচের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কর্পোরেশনকে । আর্থিক সংকটে যা চাপের কারণ । তাই ফের থমকে থাকা প্রকল্প হালে পানি পেতে চলেছে । জঞ্জাল পৃথকীকরণে জোর দিতে চলেছে কলকাতা পৌরসভা (Kolkata Municipality)।
বৃহস্পতিবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে (Mayor's Council meeting) এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই খবর । বাড়ি থেকে আলাদা আলাদা করে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হবে । একটি বালতিতে পচনশীল বর্জ্য আর অপরটিতে অ-পচনশীল । যার জন্য আবার লক্ষাধিক বালতি কিনতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশন । সেগুলি বাড়ি বাড়ি বিলি করা হবে ।
আরও পড়ুন : কলকাতা বইমেলায় হটকেক বাংলাদেশি লেখক সাদাত হোসেনের নতুন বই
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এপ্রিল বা মে মাসের মধ্যে বাড়ি-বাড়ি ময়লা ফেলার বালতি বিলি করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে কর্তৃপক্ষ । সবুজ এবং নীল রংয়ের দুরকম বালতি কেনা হবে । এর আগে 27 টি ওয়ার্ডে এরকম বালতি বিলি করা হয়েছিল । অধিকাংশ নাগরিকরা সঠিকভাবে সেগুলি ব্যবহার করেন না । তাই সেগুলির যাতে সঠিক ব্যবহার হয় তা নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে সচেতনতা প্রচার করানো হবে । যে পৌরকর্মীরা প্রতি বাড়িতে গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন, তারাও বাধ্যতামূলকভাবে সেগুলি করে আলাদা করে রাখবেন ।
আরও পড়ুন : স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি, আত্মসন্তুষ্টির কারণ নেই বিজেপির, প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগেই । কলকাতার 27টি ওয়ার্ডে এই ধরনের জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থা চালু হলেও পরে তা থমকে যায় । তারমধ্যে 144 টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র 27 টি ওয়ার্ডে হওয়ায় প্রকল্পের সুফল পাওয়া যায়নি । বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের সময় পৌরকর্মীরা আলাদা-আলাদা ভাবেই তা সংগ্রহ করবেন । একদিকে পচনশীল জঞ্জাল এবং অন্যদিকে অ-পচনশীল বা প্লাস্টিক জাতীয় আবর্জনা । পচনশীল জঞ্জাল থেকে তৈরি হয় সার । পাশাপাশি, প্লাস্টিক জাতীয় আবর্জনা থেকে বর্তমানে ধাপাতে নতুন ইউনিট তৈরি করে নানা ধরনের জিনিস বানানো হচ্ছে ।