কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: সকাল থেকে খোলাই ছিল দোকানপাট। তবে শনিবার বেলা বাড়তেই লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা হাজির হন কলকাতা কর্পোরেশনের (KMC) সন্নিকটে রক্সি সিনেমা হলের সামনে। এরপর কলকাতা কর্পোরেশনের মার্কেট বিভাগের চিফ ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিভাগীয় আধিকারিকরা দোকান বন্ধ করে সিল করে দেন (KMC Takes Step about Roxi Cinema Hall Issue) ৷ দোকানদার ও দোকানের অন্য কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ অনুসারে সেপ্টেম্বরে দোকানদারদের সরে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয় ৷ 7 দিন সময় দিলেও কেটে গিয়েছে কয়েকমাস। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police) পৌরনিগমের স্পেশাল কমিশনার চিঠি লেখেন। সেই অনুসারে শনিবার পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে দোকান বন্ধ করা হয়। কলকাতা পৌরনিগমের স্পেশাল কমিশনের নির্দেশে সিদ্ধান্ত হয় এই পৌর সম্পত্তিতে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করতে এবার অভিযানে নামবে পৌরনিগম।
আরও পড়ুন: এখনও জায়গা ছাড়েনি রক্সি সিনেমার নীচের দোকানগুলি, পুলিশকে চিঠি দিল কলকাতা কর্পোরেশন
সেইমতো শনিবার কলকাতা পৌরনিগমের বিশেষ কমিশনার সোমনাথ দে নিউ মার্কেট থানায় একটি চিঠি দেন। তাতে আদালতের নির্দেশিকা উল্লেখ করা রয়েছে। নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জকে চিঠি দিয়েছেন স্পেশাল কমিশনার। পাশাপাশি নিউমার্কেট থানা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সহায়তাও দাবি করা হয়েছে। এদিন প্রত্যেকটি দোকানের সাটারের উপর যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে সিল কাটলে বা তালা ভাঙলে অথবা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোকানদারদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ববি হাকিমের উপর আস্থা রাখছেন এবং দোকান তাঁরা আবার ফিরে পাবেন। আলোচনা চলছে এবং তার ফল ইতিবাচক হবে বলেই মনে করছেন তারা।