কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া হোক বা দক্ষিণ কলকাতার কায়স্থ পাড়া থেকে পূর্বাচল, একাধিক অভিযোগ আসছিল ৷ পরিত্যক্ত ফাঁকা জমিতে আশপাশের বাসিন্দারা প্রতিদিন ময়লা ফেলে জঞ্জালের স্তুপ বানিয়ে ফেলছেন । আর যার ফলে এসব জায়গায় হচ্ছে মশার উপদ্রব ৷ তা ঠেকাতে নিজ উদ্যোগে একাধিকবার সেই জঞ্জাল পরিষ্কার করেছে কলকাতা পৌরনিগম(KMC) । তবে তারপরে আবার যেই কে সেই অবস্থা । কোনও হুঁশ নেই, ফের লাগামহীনভাবেই জঞ্জাল ফেলছেন মানুষজন ।
এই ময়লা ফেলার প্রবণতা রুখতেই মেয়র নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ এমন ঘটনা যে সমস্ত জায়গায় হচ্ছে সেখানে নজরদারি করার কথা ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim) বলেন । তিনি দরকারে সিসিটিভি লাগিয়ে ওইসব লোকগুলিকে চিহ্নিত করারও নির্দেশ দেন। সেইমতো এলাকাগুলিতে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। আর তাতেই ধরা পড়ল চোর, অর্থাৎ ময়লা ফেলা লোকগুলি ৷ সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা গিয়েছে যথেচ্ছভাবে আবর্জনা ফেলছে আশেপাশের বাসিন্দারা ৷ এরপরই তাদের চিহ্নিত করে ধরানো হয়েছে জরিমানার নোটিশ । আর জরিমানার সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়, মাস দু'য়েকের সময়কালে প্রায় 1000-1200 জনকে এই জরিমানার নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
গত বেশ কয়েকমাস ধরে ডেঙ্গিতে ঘুম ছুটেছে কলকাতাবাসীর। ঘটছিল একের পর এক মৃত্যু। মশার অন্যতম উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছিল পুকুর বা পরিত্যক্ত জমিতে যথেচ্ছ আবর্জনার স্তুপ । তবে মশাবাহিত রোগ বেড়ে চললেও থামেনি যথেচ্ছ আবর্জনা ফেলার প্রবণতা । তাই বাধ্য হয়ে শুরু হয় সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) তরফে একের পর এক নোটিশ পাঠানো ।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে শুরু শিশুদের টিকাকরণ, প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব ভাবাচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমকে
সূত্রের খবর, গত দু'মাসে এমন প্রায় 1000-1200 মতো জরিমানার নোটিশ দেওয়া হয়েছে । এই প্রসঙ্গে পৌরনিগমের এক আধিকারিক জানান, জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হলে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর বা জমি পরিষ্কারের নোটিশ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ । সেটা অমান্য করলে জরিমানা করা এমনকী পৌর আদালতে মামলা পর্যন্ত করা যায় । তবে এতদিন কর্তৃপক্ষের নরম মনোভাব দেখালেও এবার আরও কড়া হয়ে জরিমানার নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। মেয়র জানান, এই জরিমানার অঙ্ক কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে। আইনি বিষয়টি দেখে নিয়ে পৌরনিগম এই পদক্ষেপ নিয়েছে ।