কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: পুজোর মণ্ডপে লম্বা ভাবে বাঁধা প্রতিটি বাঁশের মাথায় দিতে হবে বালি। যাতে কোনওভাবেই বৃষ্টি হলে সেই বাঁশের মাথায় জল জমে মশা না-জন্মায়। এই মর্মে এবার কলকাতার প্রতিটি পুজো কমিটির কাছে সতর্ক বার্তা পাঠানো শুরু করল কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। পুজোর সময় ডেঙ্গির ভরা মরশুমের জেরে বাতিল করা হল ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের ছুটি। আজ, মঙ্গলবার প্রত্যেকটি বরো আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে এমন একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে।
এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ সদস্য অতীন ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী ও পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস। কর্পোরেশন সূত্রে খবর, মাসখানেক বাদেই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর তার প্রস্তুতি এখন চলছে পুরোদমে। তিলোত্তমার প্রতি রাস্তা অলিগলিতে এখন পুজোর গন্ধ। তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। আর সেই মণ্ডপ নিয়েই ডেঙ্গির ভরা মরশুমে চিন্তায় কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রতিবারই দেখা যায় মণ্ডপ লাগোয়া এলাকায় বাড়িগুলোতে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত সংখ্যা বেশি। কারণ খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, মণ্ডপে লম্বালম্বি থাকা বাঁশের মাথায় বর্ষার জল জমে সেখানেই জন্ম নিয়েছে এক ঝাঁক ডেঙ্গি মশা আর সেই মশাই চারপাশে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। তাই এবার আর কোনও কাল বিলম্ব না-করেই আগাম সতর্ক করা হচ্ছে চিঠি দিয়ে। কমিটির লোকজনকেই রাখতে হবে নজর। দিতে হবে বালি, যাতে কোনওভাবে জল না জমে।
এদিন বৈঠক শেষে অতীন ঘোষ জানান, প্রতি ক্লাবকে এই চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে পুজোতে। তারা মণ্ডপ গুলো অভিযান করবেন মাঝে মধ্যেই। মানুষ সচেতন না-হলে ডেঙ্গি কমানো সম্ভব হবে না। বুধবার বেশকিছু ডেঙ্গি প্রবণ এলাকায় ড্রোন চালিয়ে মশার উৎস খোঁজ করা হবে।