কলকাতা, 13 জানুয়ারি: 2022-23 আর্থিক বছর (2022-23 Financial Year) শেষের পথে ৷ তার আগেও খরচের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলল না কলকাতা পৌরনিগম (KMC Expenditure Ban not Lifted) ৷ আগের থেকে খানিকটা হলেও হাল ফিরেছে কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগারের ৷ কেএমসি-র অর্থ বিভাগ একাধিকবার এমনই দাবি করেছে ৷ তার পরেও বছর শেষে খরচে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ এর সমালোচনাও করেছে বিরোধীরা ৷ কলকাতা পৌরনিগমের বিরোধীপক্ষের কটাক্ষ, মাঝেমধ্যেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম আয় বাড়ার দাবি করে থাকেন ৷ তবে, তা কতটা সত্যি তা বছর শেষে খরচের উপর নিষেধাজ্ঞাই প্রমাণ করে ৷
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলছেন, ‘‘বিভিন্ন খাতে প্রতি মাসে অতিরিক্ত 94 কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের ৷ তাই খরচের উপর 40 শতাংশ নিষেধাজ্ঞা এক‘ও জারি রয়েছে ৷’’ প্রতি আর্থিক বছরে বাজেট পেশের পর, শুরুতেই খরচে উপর নির্দিষ্ট হারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা পৌরনিগম ৷ একটি উন্নয়ন খাতে ও অপরটির রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৷ এই দুই খাতেই কোন বছর 40 শতাংশ ও পরবর্তী সময়ে আরও 20 শতাংশ খরচ করা হয় ৷ অর্থাৎ, বছরের শেষে 40 শতাংশ খরচের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে ৷ যা বাজেট পেশের আগে সাধারণত তুলে নেওয়া হয় ৷
আর 2022-23 অর্থবর্ষে সেই 40 শতাংশ খরচে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করায় পৌর বোর্ডকে চেপে ধরেছে বিরোধীর ৷ তাদের অভিযোগ, কোষাগারের হাল ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে পৌর বোর্ড ৷ তাই বরাদ্দের টাকাও সম্পূর্ণ দিতে পারছে না ৷ এই প্রসঙ্গে মেয়র দাবি করেছেন, ‘‘পে-কমিশন ও পেনশন-সহ আরও বেশ কিছু খাতে পৌরনিগমের খরচ বেড়েছে ৷ তাই আয় খানিক বাড়লেও প্রতি মাসে 94 কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে পে-কমিশন ও পেনশন-সহ অন্যান্য খাতে ৷ ফলে 40 শতাংশ নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে ৷
আরও পড়ুন: প্রতি ওয়ার্ডে বিবেক উৎসব পালনে টাকা বরাদ্দ বন্ধ পৌরনিগমের
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষ শেষের আগে অন্তত 1200 কোটি টাকা কোষাগারে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল ৷ কর্পোরেশনের কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় ৷ এছাড়াও গাড়ি পার্কিং, বিজ্ঞাপন, লাইসেন্স খাতেও আয় বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম ৷