কলকাতা, 16 জুলাই: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কর্মীদের উপর নজরদারি বাড়াতে কলকাতা পৌরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগে শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক হাজিরার । আর সেই পদ্ধতি চালু হতেই ফল হয়েছে উলটো । তাই আবর্জনায় ভরে ওঠা কালীঘাট সাফ করতে এ বার পুরনো পদ্ধতি ফেরানোর আর্জি জানালেন কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় । তবে এই আর্জিতে ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
কালীঘাট মন্দিরের আশপাশ-সহ গোটা ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় দিন পড়ে থাকে ময়লা আবর্জনা । যেখানে শুধু কলকাতা নয়, ভিন জেলা, ভিন রাজ্য থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন পুজো দিতে, সেই এলাকা-সহ গোটা ওয়ার্ডে সঠিক ভাবে পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে না । এই দাবি কোনও বিরোধী দলের নয়, এই দাবি ওই এলাকার শাসকদলের কাউন্সিলর স্বয়ং প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের । হাজরা, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে প্রায় দিন থেকে যাচ্ছে নোংরা ।
কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বায়োমেট্রিক হাজিরা শুরু হতেই কাজে দেদার ফাঁকি দিচ্ছেন জঞ্জাল সাফাইয়ের কর্মীরা । আগে খাতায় রোজ হাজিরা দিতে হত । কাজও নিয়মিত করতেন । এখন সকালে এসে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিয়ে অনেকেই উধাও । ছুটির সময় এসে ফের বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুল ছুঁইয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন । ফের পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করা হোক হাজিরার জন্য । কাউন্সিলরের এই আবেদন শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম ।
আরও পড়ুন: শহর জুড়ে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য ! মহামারীর আশঙ্কা করছেন মেয়র
মেয়র স্পষ্ট জানান, কোনও অবস্থায় ফিরবে না পুরনো ব্যবস্থা । বায়োমেট্রিক হবে হাজিরা । কাউন্সিলরকে তাঁর ওয়ার্ডের কাজ করিয়ে নিতে হবে । বিষয়টি পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারের সঙ্গেও আলোচনা করেন । ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, কেউ নিয়ম না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন আছে । সেগুলি দরকার যদি পড়ে তাহলে করতে হবে ।
উল্লেখ্য, কাজে ফাঁকি আটকাতেই কলকাতা পৌরনিগমের তরফে জঞ্জাল সাফাই বিভাগে চালু করা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরা । তবে কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বা দূরে কাজে যাওয়াতে সেই নির্দিষ্ট সময় হাজিরা দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে । বেশ কয়েক দিন ধরেই কলকাতার নানা ওয়ার্ডে এই বিষয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাফাই কর্মীরা ।