কলকাতা, 26 নভেম্বর: ভয়াবহ বন্যায় 2018 সালে তছনছ হয়ে গিয়েছিল কেরলের একাধিক জেলা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে রাজ্যটিকে কার্যত নতুন করে গড়ার দরকার হয়ে পড়েছিল । সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল বাম সরকার। পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়, নিপা ভাইরাস ও করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে যে বিপর্যয় কেরালার বুকে নেমে এসেছিল তাও রাজ্য প্রশাসন নিজেদের দক্ষতায় ও ক্ষমতায় সামাল দিয়েছিল। প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোনও বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের তরফে পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য পায়নি কেরল। কলকাতার আরবিআই ক্যান্টিনে ব্যাংক কর্মীদের অনুষ্ঠানে এমনই দাবি কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী কেকে শৈলজার ৷
পশ্চিমবঙ্গের উপর নেমে আসা বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য করছে না বলে দাবি করে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রীর গলাতেও একই ক্ষোভ শোনা গেল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এম্পয়িজ এসোসিয়েশনের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান ছিল আরবিআই ক্যান্টিন হলে ৷ সেখোনে শৈলজা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়ক।
আরও পড়ুন: থমকে ঠান্ডা, জাঁকিয়ে শীত দূরেই
এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই কে কে শৈলজা বলেন, "কেরালায় ভয়ংকর বন্যায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল একাধিক জেলা। বহু মানুষের সাহায্যে এবং সরকারের দক্ষতায় কেরালার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কেরলের বাসিন্দা যাঁরা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে বা ভিন দেশে থাকেন তাঁরা অর্থ সাহায্য করতে চাইলেও কেন্দ্রের বাধায় হয়ে ওঠেনি। সামগ্রিক পুনর্গঠনের জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন ছিল সেটা কেন্দ্রের তরফে মেলেনি। কেরলের একটি গ্রামে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল । এই রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি । আমরা সেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। চিকিৎসক, ওষুধ-সহ দরকারি সমস্ত পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের পাশে ছিলাম। তাই তাঁরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাননি। পরবর্তী সময়ে যখন বিভিন্ন দেশে করোনার মত রোগ ছড়াতে শুরু করে তখন থেকেই আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠাম ঢেলে সাজিয়েছিলাম। হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়ানো-সহ ওষুধ পত্রের যোগান পর্যাপ্ত রাখার কাজ হয়েছিল। তার জেরেই আমরা করোনার বিরুদ্ধে সুষ্ঠুভাবে লড়াই জারি রাখতে পেরেছিলাম। তাতে সাফল্যও এসেছিল ।"