ETV Bharat / state

কড়েয়া খুনে নয়া তথ্য, শওহরের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না নীলুর! - শওহরের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না নীলুর

পুলিশ নীলুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে । সেখানে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ।

মৃত
author img

By

Published : Oct 31, 2019, 11:49 PM IST

কলকাতা, 31 অক্টোবর : সন্ধ্যায় খুন । কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থানে যান কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা । তখন মৃত আবদুল রফিকের বিবি জাহেদা সেলিম ফ্ল্যাটে চুপচাপ বসে । না, শোকে পাথর হয়ে যাননি । চোখে জলও নেই । অনেকটাই যেন স্বাভাবিক । যে ড্রয়ারের মধ্যে প্রায় 7 লাখ টাকা ছিল সেটি নিয়ে প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেলেন । বিষয়টি কিছুটা আশ্চর্যই করেছে তদন্তকারীদের । সূত্রের খবর তেমনটাই ।

সূত্র জানাচ্ছে, গোয়েন্দা প্রধান নীলুর থেকে জানতে চান, ঘর থেকে কিছু কি খোয়া গেছে? নিলু জানান, যে ট্রান্সপারেন্ট কন্টেনারে প্রায় 7 লাখ টাকা ছিল, তেমনই আরও একটি কন্টেইনার ছিল ওই ড্রয়ারে । সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তাতেও নাকি ছিল টাকা । পরে দেখা যায় যে গদির উপর বসে আছেন নীলু তার তলাতেই রয়েছে সেই কন্টেনার । তাতে টাকা-পয়সা নেই । আছে পাসপোর্ট-সহ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র । পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, নীলু তদন্তকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, লুটের উদ্দেশ্যেই এই খুন! অথচ বাড়ি থেকে কিছুই খোয়া যায়নি ।

পুলিশ নীলুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে । সেখানে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য । এমনিতেই অসমবয়সী বিয়ে হয়েছিল নীলুর সঙ্গে রফিকের । রফিকের বয়স 64 । আর নীলুর 40। দু'জনের মধ্যে সামাজিকভাবেও রয়েছে প্রচুর অমিল । একটা সময় যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিল রফিকের পরিবার । তার ছিটেফোঁটা এখনও রয়ে গেছে । অন্যদিকে নীলু নিম্নবিত্ত পরিবারের । রফিক অনেকটাই গোছানো মানুষ । পুলিশ জেনেছে, নীলু ততটাই অগোছালো । জেরায় তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ইচ্ছামত হাত খরচা নীলুকে দিতেন না রফিক । মাসে 2 থেকে 3 হাজার টাকা তার জন্য বরাদ্দ ছিল । সেই হিসেবটাও ক্যালেন্ডারের পাতায় লিখে রাখতেন রফিক । এই বিষয়গুলো নিয়ে বিবির সঙ্গে মনোমালিন্য লেগেই থাকত বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা ।

পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রায় 50 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । রফিকের যে ভাইরা বাংলাদেশে থাকেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ । পাশাপাশি রফিকের হাত ও গলার ক্ষত চিহ্ন দেখে হোমিসাইডের দুঁদে অফিসাররা মনে করছেন, দুষ্কৃতীরা চপার চালাতে ওস্তাদ । পাশাপাশি রফিকের সঙ্গে নীলুর মনোমালিন্যের জেরে তাঁদের সম্পর্কের মাঝে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এসেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

কলকাতা, 31 অক্টোবর : সন্ধ্যায় খুন । কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থানে যান কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা । তখন মৃত আবদুল রফিকের বিবি জাহেদা সেলিম ফ্ল্যাটে চুপচাপ বসে । না, শোকে পাথর হয়ে যাননি । চোখে জলও নেই । অনেকটাই যেন স্বাভাবিক । যে ড্রয়ারের মধ্যে প্রায় 7 লাখ টাকা ছিল সেটি নিয়ে প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেলেন । বিষয়টি কিছুটা আশ্চর্যই করেছে তদন্তকারীদের । সূত্রের খবর তেমনটাই ।

সূত্র জানাচ্ছে, গোয়েন্দা প্রধান নীলুর থেকে জানতে চান, ঘর থেকে কিছু কি খোয়া গেছে? নিলু জানান, যে ট্রান্সপারেন্ট কন্টেনারে প্রায় 7 লাখ টাকা ছিল, তেমনই আরও একটি কন্টেইনার ছিল ওই ড্রয়ারে । সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তাতেও নাকি ছিল টাকা । পরে দেখা যায় যে গদির উপর বসে আছেন নীলু তার তলাতেই রয়েছে সেই কন্টেনার । তাতে টাকা-পয়সা নেই । আছে পাসপোর্ট-সহ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র । পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, নীলু তদন্তকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, লুটের উদ্দেশ্যেই এই খুন! অথচ বাড়ি থেকে কিছুই খোয়া যায়নি ।

পুলিশ নীলুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে । সেখানে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য । এমনিতেই অসমবয়সী বিয়ে হয়েছিল নীলুর সঙ্গে রফিকের । রফিকের বয়স 64 । আর নীলুর 40। দু'জনের মধ্যে সামাজিকভাবেও রয়েছে প্রচুর অমিল । একটা সময় যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিল রফিকের পরিবার । তার ছিটেফোঁটা এখনও রয়ে গেছে । অন্যদিকে নীলু নিম্নবিত্ত পরিবারের । রফিক অনেকটাই গোছানো মানুষ । পুলিশ জেনেছে, নীলু ততটাই অগোছালো । জেরায় তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ইচ্ছামত হাত খরচা নীলুকে দিতেন না রফিক । মাসে 2 থেকে 3 হাজার টাকা তার জন্য বরাদ্দ ছিল । সেই হিসেবটাও ক্যালেন্ডারের পাতায় লিখে রাখতেন রফিক । এই বিষয়গুলো নিয়ে বিবির সঙ্গে মনোমালিন্য লেগেই থাকত বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা ।

পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রায় 50 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । রফিকের যে ভাইরা বাংলাদেশে থাকেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ । পাশাপাশি রফিকের হাত ও গলার ক্ষত চিহ্ন দেখে হোমিসাইডের দুঁদে অফিসাররা মনে করছেন, দুষ্কৃতীরা চপার চালাতে ওস্তাদ । পাশাপাশি রফিকের সঙ্গে নীলুর মনোমালিন্যের জেরে তাঁদের সম্পর্কের মাঝে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এসেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

Intro:কলকাতা, 31 অক্টোবর: সন্ধ্যায় খুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অপরাধ মুরলীধর শর্মা। তখন মৃত আব্দুল রফিকের বিবি জাহেদা সেলিম ওরফে ফ্ল্যাটে চুপচাপ বসে। না, শোকে পাথর হয়ে যাননি। চোখে জলও নেই। অনেকটাই যেন স্বাভাবিক। যে ড্রয়ারের মধ্যে প্রায় 7 লাখ টাকা ছিল সেটি নিয়ে প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেলেন। বিষয়টি কিছুটা আশ্চর্যই করেছে তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর তেমনটাই।Body:সূত্র জানাচ্ছে, গোয়েন্দাপ্রধান নীলুর থেকে জানতে চান, ঘর থেকে কিছু কি খোয়া গেছে? নিলু জানান, যে ট্রান্সপারেন্ট কন্টেনারে প্রায় 7 লাখ টাকা ছিল, তেমনই আরও একটি কন্টেইনার ছিল ওই ড্রয়ারে। সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাতেও নাকি ছিল টাকা। পরে দেখা যায় যে গদির ওপর বসে আছেন নিলু তার তলাতেই রয়েছে সেই কন্টেনার। তাতে টাকা-পয়সা নেই। আছে পাসপোর্ট সহ কিছু জন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, নিলু তদন্তকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, লুটের উদ্দেশ্যেই এই খুন! অথচ বাড়ি থেকে কিছুই খোয়া যায়নি।

পুলিশ নীলুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেখানে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমনিতেই অসমবয়সী বিয়ে হয়েছিল নীলুর সঙ্গে রফিকের। রফিকের বয়স 64। আর নিলুর 40। দুজনের মধ্যে সামাজিকভাবেও রয়েছে প্রচুর অমিল। একটা সময় যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিল রফিকের পরিবার। তার ছিটেফোঁটা এখনো রয়ে গেছে। অন্যদিকে নিলু নিম্নবিত্ত পরিবারের। রফিক অনেকটাই গোছানো মানুষ। ছিল সৌখিনতা। পুলিশ জেনেছে, নীলু ততটাই অগোছালো। জেরায় তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ইচ্ছামত হাত খরচা নীলুকে দিতেন না রফিক। মাসে 2 থেকে 3 হাজার টাকা তার জন্য বরাদ্দ ছিল। সেই হিসেবটাও ক্যালেন্ডারের পাতায় লিখে রাখতেন রফিক। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিবির সঙ্গে মনোমালিন্য লেগেই থাকত বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা।Conclusion:প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটার দিন সন্ধ্যা সাতটা পনেরো নাগাদ জামা-কাপড় নিতে এসে ফ্ল্যাটের দরজা দিয়ে টাটকা রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয় লন্ড্রিওয়ালা। বিষয়টি সন্দেহজনক থাকায় আশে পাশের ফ্ল্যাটের লোকেদের খবর দেন তিনি। সেই সময় রফিকের বিবি বাড়িতে ছিলেন না। একদিন আগে অর্থাৎ 28 অক্টোবর জাহেদা সেলিম ওরফে নিলু বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এলাকাতেই তার বাপের বাড়ি। দ্রুত তাকে ফোন করা হলে তিনি এসে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রফিক। পুলিশি তদন্ত বলছে, বিবির সঙ্গে রফিকের শেষবার কথা হয় সন্ধ্যে ছটা নাগাদ। অর্থাৎ এই খুনের ঘটনা ঘটেছে সন্ধ্যে ছটা থেকে 07: 15র মধ্যে। মূলত চপার দিয়ে আঘাত করেই এই খুন। একটা সময় বক্সার ছিলেন রফিক। খুনের সময় তিনি আততায়ীকে যথেষ্ট বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেহে পাওয়া গেছে তার চিহ্ন। তার হাতের সামনের দিকে কোন এর নিচে চপারের আঘাত ছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রায় 50 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রফিকের যে ভাইরা বাংলাদেশে থাকে, তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। পাশাপাশি রফিকের হাত ও গলার ক্ষত চিহ্ন দেখে হোমিসাইডের দুঁদে অফিসাররা মনে করছেন, আততায়ী চপার চালাতে ওস্তাদ। পাশাপাশি রফিকের সঙ্গে নীলুর মনোমালিন্যের জেরে তাদের সম্পর্কের মাঝে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এসেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.