কলকাতা ও শিলিগুড়ি, 16 মে: ববিতা সরকার এসএসসির সেই শিক্ষিকা, যিনি আদালতে লড়াই করে নিজের চাকরি আদায় করেন। তাঁর আবেদনেই চাকরি গিয়েছিল পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এবার ববিতা সরকারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে অনামিকা রায়কে সেই চাকরিতে বহাল করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন তিনি মনে করছেন, ববিতা সরকারকে চাকরিতে বহাল রাখা উচিত নয়। কারণ তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেননি। তিনি অনামিকা রায়ের থেকে 2 নম্বর কম পেয়েছিলেন। এই রায়ে ববিতা ও অনামিকা কী বললেন তা জেনে নিন..
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন ববিতা সরকারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে অনামিকা রায়কে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোথাও নিয়োগ করতে। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষিকা হিসাবে রাষ্টবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁকে নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ববিতা সরকারকে মোট 15 লক্ষ 92 হাজার 842 লক্ষ টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে 11 লক্ষ আগামী 19 মে-এর মধ্যে এবং বাকিটা 6 জুনের মধ্যে সুদ-সহ ফেরত দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
আরও পড়ুন: মামলা করে চাকরি পেয়েছিলেন ! এসএসসি'র ভুলে এবার নয়া বিতর্কে ববিতা
ইতিমধ্যে তিনি যে বেতন পেয়েছেন সেগুলো তাঁকে ফেরত দিতে হবে না অনামিকা রায়কে। বাকিটা অনামিকা রায়কে দুই দফায় ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, অনামিকা রায় ও ববিতা সরকার দু'জনেই 2016 সালের স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার্থী। রাষ্টবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত দু'জনেই। অনামিকা রায় নামের প্রার্থী মামলা করেছিলেন ববিতা সরকারের চাকরির বৈধতা নিয়ে। কারণ তাঁর দাবি ছিল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কিন্তু ওই পদে চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর । ববিতার চাকরি পাওয়ার 6 মাসের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়ে ববিতার নিয়োগও।