কলকাতা, 28 অগস্ট: মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির শিকার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের সোমবার রাত 12টার মধ্যে দিতে হবে চাকরি ৷ এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৷ দুর্নীতি কাণ্ডে যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন বিচারপতি। নির্দিষ্ট দিন পেরোলেও আদালতের নির্দেশ মানেনি মাদ্রাসা কমিশন। তাতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলার শুনানিতে একেবারে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিচারপতি ৷
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম আনসারিকে নির্দেশ দিয়েছেন, সোমবার রাত বারোটার মধ্যে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, "সময় পেরোলেও চাকরি দেয়নি কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে কিন্তু তার কোনও শুনানি হয়নি । চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।" অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের আইনজীবী বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা আছে । মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি।"
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আকমল হোসেনের মতো অনেক চাকরিপ্রার্থী মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেন। আবেদনকারীরা সকলেই বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। অভিযোগ ওঠে, যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরিতে সুযোগ না-দিয়ে, মাদ্রাসা কমিশন শিক্ষক নিয়োগে প্রশিক্ষণহীনদের অগ্রাধিকার দিয়েছে । 2022 সালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলা ওঠে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলায় সব ফুটেজ দেখবেন বিচারপতি, শনিবার দিন ধার্য করলেন
2022 সালের 14 জুন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রশিক্ষণহীনদের সরিয়ে যোগ্য আবেদনকারীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে 70 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। পনেরো দিনের মধ্যে সেই নির্দেশ বহাল করতে বলেছিলেন বিচারপতি। কিন্তু অভিযোগ নির্দেশ পালন করেনি কমিশন। ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালত অবমাননার মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা । অন্যদিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। যদিও সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি।