কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যের নবম-দশমের সিলেবাস বদলের (Cal HC on 9th-10th Syllabus) পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এই পরামর্শ দেন বিচারপতি (Calcutta High Court)।
বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম অনেক পুরনো । অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিলেবাসে সংস্কার করুক রাজ্য সরকার । তিনি বলেন, "4 বছরেরও পুরনো এই নবম-দশমের সিলেবাস । গত বছরের তুলনায় চলতি বছর 4 লক্ষ কম পরীক্ষার্থী বসছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় । সিলেবাসে এ বার বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর । আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা ।"
বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, শুধু শিক্ষক নিয়োগ করে তাতে লাভ কী হবে ? তাঁর কথায়, যে স্কুলে ছাত্রসংখ্যা 30, সেখানে শিক্ষক 12 । দিনভর ঝগড়া চলছে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে । সিলেবাসে বদল এনে রাজ্য নতুন কিছু ভাবুক । আদালত কতটুকুই বা করতে পারে !
বিচারপতির এই পরামর্শ শুনে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, বিচারপতির বার্তা মেনে পদক্ষেপের জন্য চেষ্টা করা হবে । বদলি নীতি পরিবর্তনের জন্য এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন ? অর্থের অপচয় হচ্ছে, মন্তব্য বিচারপতি বসুর
গত 20 ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানিতে শিক্ষা দফতরের উদ্দেশে বিচারপতি বলেছিলেন, রাজ্যে বর্তমানে দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ আর এ দিকে এ বার আগের বছরের থেকে চার লাখ কম পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে বসছে । এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন ? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে । যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিতে বলেছিলেন বিচারপতি । শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করারও পরামর্শ দেন তিনি । তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীকে জানান । আইনে বদল আনুন ।"
পাশাপাশি সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি । তিনি বলেছিলেন, "এইসব স্কুল রেখে লাভ কী ? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন । এটা না করতে পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাটমুক্ত হবে না । কারণ নিয়োগের সময় এইসব স্কুলে শূন্যপদ দেখাবে । সেখানে নিয়োগ করতে হবে । অর্থের অপচয় হবে ।"