কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: 2014 সালের পর থেকে অভিষেকের সম্পত্তি কীভাবে এত বাড়ল? তা তদন্ত করে দেখা হয়েছে? মঙ্গলবার এমনটাই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ লিপস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানির সম্পত্তির বিষয়ে মঙ্গলবার ইডি আদালতে জানায়, 5 হাজার 500 পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েছেন অভিষেক। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নথি জমা দিয়ে গিয়েছেন। বিচারপতি সিনহা এদিন জানতে চান, লিপস অ্যান্ড বাউন্স কর্তার (নাম না-করে অভিষেকের) আয়ের উৎস কী? ওই নথি থেকে কী উদ্ধার হয়েছে?
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, একটা জিনিস লক্ষ্য করার মতো বেশিরভাগ সম্পত্তি 2014 সালের পর থেকে বৃদ্ধি হয়েছে। আবার এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। দু'টোর মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখেছেন?
- ইডি জানায়- ওই নথি থেকে প্রচুর লেনদেন পাওয়া গিয়েছে।
- বিচারপতি- সেগুলো আলাদা করে জানাতে হবে। 31 ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে তো?
- ইডি- 31 ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা চলছে। তদন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।
- বিচারপতি- ইডির আইন অনুযায়ী অবৈধ সম্পত্তি নিয়ে যে পদক্ষেপ করার তা নিয়ে কিছু পাওয়া গিয়েছে। আপনাদের তদন্তে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।
- ইডি- আমাদের কাছে অনেক তথ্যই রয়েছে। আমরা আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাব।
- বিচারপতি- 5 হাজার পৃষ্ঠা নিয়ে আবার হাজির হবেন না। প্রয়োজনীয় অংশটি আদালতে জমা দেবেন। 14 ডিসেম্বর মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিতে হবে আপনাদের। 20 ডিসেম্বর রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠি সামনে আসার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর সেই মামলা পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে স্থানান্তর করা হয়। বিচারপতি সিবিআই ও ইডির থেকে জানতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একটা কোম্পানি রয়েছে। যেখানে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: