কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: প্রাথমিকে নিয়োগের এবার নবম-দশম নিয়োগে নিয়ম না-মানার অভিযোগ ৷ 2016 সালে নবম-দশম নিয়োগের মেধা তালিকায় রেশিও না মানার অভিযোগ উঠল স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে(2016 SLST Recruitment)। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে হলফনামা চাইলেও তারা যে তথ্য দিয়েছে তাতে বিস্তর গলদের ইঙ্গিত মিলেছে । তাই তাদের দেওয়া সেই হলফনামার ব্যাখ্যা চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay says to explain about 2016 SLST Recruitment)। আগামী 23 সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত জবাব দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে । বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷
শিউলি খাতুন নামে এক মামলাকারীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন একটা হলফনামা জমা দেয় । 2 সেপ্টেম্বরের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে । সেখানে দেখা যায় তালিকাটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ । 1:1.4 রেশিও অনুযায়ী তালিকা হয়নি ।
আরও পড়ুন : সোমে 23, মঙ্গলে 54 চাকরিপ্রার্থীকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "100টি শূন্যপদের জন্য 140 জনকে ইন্টারভিউতে ডাকার কথা । সেখানে 190 জনকে ডাকা হয়েছে । আবার মেধা তালিকা যখন তৈরি হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে 255 জনের নাম রয়েছে । কি করে এটা হয় কিছুই বোধগম্য নয় ।"
এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন প্রত্যেক মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীর পার্সোনাল ডিটেইলস, বিষয়, ক্যাটেগরি উল্লেখ করে ইন্টারভিউ লিস্টে যাদের নাম ছিল সেই তালিকা 23 সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আনতে হবে ৷ পুজোর ছুটির পর 9 নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে । এদিনের নির্দেশে তিনি আরও জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন যে একগুচ্ছ নথি পেশ করেছে আদালতে তাতে একাধিক গলদ রয়েছে । রেশিও কীভাবে মানা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । সেই কারণে পুরো তালিকা আদালতে নিয়ে এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি মামলাকারীদের কাছে এই বিষয়ে যে তথ্য রয়েছে তা হলফনামার আকারে আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন : ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল