ETV Bharat / state

Jobseekers Rue SC Order: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা থেকে সরানো মানে অপশক্তির জয়, মত চাকরিপ্রার্থীদের - recruitment case

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা থেকে সরানোর অর্থ হল অপশক্তির জয় ৷ এমনই প্রতিক্রিয়া আন্দোলনরত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ৷

Jobseekers Rue SC Order ETV bharat
চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া
author img

By

Published : Apr 28, 2023, 2:04 PM IST

কলকাতা, 28 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তবে এই সিদ্ধান্তে খুশি নন বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ৷ তাঁদের মতে, এই নির্দেশের ফলে দুর্নীতির জয় হল ৷

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শুনানিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় । বিভিন্ন মামলার তদন্ত তিনি সিবিআই ও ইডির হাতে তুলে দেওয়ার পর, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অনেকেই বর্তমানে সংশোধনাগারে রয়েছেন ৷ উঠে আসছে আরও বেশ কয়েকজনের নাম ।

গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাত্‍কার দিয়েছেন । যা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, বিচারপতিরা কোনও ভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্‍কার দিতে পারেন না । তিনি যদি সাক্ষাত্‍কার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন । সে ক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে । সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা । মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে দীর্ঘদিন বসে রয়েছেন 2014 নন ইনক্লুডেড প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের মধ্যে থেকে অর্ণব ঘোষ জানান, "সবাই বলেছিল আদালতের মাধ্যমে চাকরি দেব । কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত করেছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি এই মামলার এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন, যেখান থেকে আমাদের চাকরি বিক্রি হয়েছে । এখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া মানে অপশক্তির জয় । আগামী দিনে আমাদের হয়ে কথা বলার কেউ থাকল না । কারণ যিনি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবেন, তাঁদের হাত পা বেঁধে দেওয়া হল এই নির্দেশের ফলে । নতুন যিনি আসবেন এই মামলার দায়িত্বে, তিনি কীভাবে এগোবেন তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রইল ।"

অন্যদিকে এই একই প্রশ্ন তুললেন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে থাকা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের কথায়, এ বার নিয়োগ কাজ সুপ্রিম কোর্টের । চাকরিপ্রার্থী আবু নাসের বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ আদালত । হয়তো আইনে আছে বলেই তাঁকে সরানো হল । তবে এ বার আমরা আশা করব ওই সুপ্রিম কোর্টের হাত থেকেই আমরা আমাদের ন্যায় বিচার পাব । দুর্নীতির ছাঁটাই বাছাই অনেক হয়েছে । কিন্তু এ বার আমাদের নিয়োগ হওয়া দরকার ।"

শুধু চাকরিপ্রার্থীরাই নন, বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক নির্দেশে তাঁর উপর ভরসা করতে শুরু করেছিলেন অনেকেই ৷ বইমেলা থেকে শুরু করে যেখানেই তাঁকে দেখা গিয়েছে, আমজনতা ভিড় করেছে তাঁকে একবার চোখে দেখার জন্য । সেই ভিড় থেকেই কেউ চিৎকার করে বলতেন, "তিনি আমাদের ঈশ্বর ।" ফলে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের জেরে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র হল বলেই জানালেন যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ।

আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সমস্ত নিয়োগ মামলা থেকে সরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা, 28 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তবে এই সিদ্ধান্তে খুশি নন বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ৷ তাঁদের মতে, এই নির্দেশের ফলে দুর্নীতির জয় হল ৷

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শুনানিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় । বিভিন্ন মামলার তদন্ত তিনি সিবিআই ও ইডির হাতে তুলে দেওয়ার পর, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অনেকেই বর্তমানে সংশোধনাগারে রয়েছেন ৷ উঠে আসছে আরও বেশ কয়েকজনের নাম ।

গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাত্‍কার দিয়েছেন । যা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, বিচারপতিরা কোনও ভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্‍কার দিতে পারেন না । তিনি যদি সাক্ষাত্‍কার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন । সে ক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে । সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা । মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে দীর্ঘদিন বসে রয়েছেন 2014 নন ইনক্লুডেড প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের মধ্যে থেকে অর্ণব ঘোষ জানান, "সবাই বলেছিল আদালতের মাধ্যমে চাকরি দেব । কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত করেছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি এই মামলার এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন, যেখান থেকে আমাদের চাকরি বিক্রি হয়েছে । এখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া মানে অপশক্তির জয় । আগামী দিনে আমাদের হয়ে কথা বলার কেউ থাকল না । কারণ যিনি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবেন, তাঁদের হাত পা বেঁধে দেওয়া হল এই নির্দেশের ফলে । নতুন যিনি আসবেন এই মামলার দায়িত্বে, তিনি কীভাবে এগোবেন তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রইল ।"

অন্যদিকে এই একই প্রশ্ন তুললেন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে থাকা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের কথায়, এ বার নিয়োগ কাজ সুপ্রিম কোর্টের । চাকরিপ্রার্থী আবু নাসের বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ আদালত । হয়তো আইনে আছে বলেই তাঁকে সরানো হল । তবে এ বার আমরা আশা করব ওই সুপ্রিম কোর্টের হাত থেকেই আমরা আমাদের ন্যায় বিচার পাব । দুর্নীতির ছাঁটাই বাছাই অনেক হয়েছে । কিন্তু এ বার আমাদের নিয়োগ হওয়া দরকার ।"

শুধু চাকরিপ্রার্থীরাই নন, বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক নির্দেশে তাঁর উপর ভরসা করতে শুরু করেছিলেন অনেকেই ৷ বইমেলা থেকে শুরু করে যেখানেই তাঁকে দেখা গিয়েছে, আমজনতা ভিড় করেছে তাঁকে একবার চোখে দেখার জন্য । সেই ভিড় থেকেই কেউ চিৎকার করে বলতেন, "তিনি আমাদের ঈশ্বর ।" ফলে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের জেরে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র হল বলেই জানালেন যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ।

আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সমস্ত নিয়োগ মামলা থেকে সরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.