কলকাতা, 30 জানুয়ারি: যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের (TMC Leader Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে টেটের ওএমার সিট মিলেছে । সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অ্যাডমিট কার্ডও । আর তা দেখে বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! বিচারপতির মন্তব্য, "কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে? কী হচ্ছে এটা ? কী করে কুন্তলের কাছে রয়েছে ওএমআর সিট (OMR) ও অ্যাডমিট কার্ড! ইডিকে (ED) ডেকে জিজ্ঞাসা করব।"
সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্ষদের আইনজীবী জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে 186টি ওএমআর সিট (OMR Sheet) ও অ্যাডমিট কার্ড। আর তা নিয়ে ক্ষিপ্ত বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না , আবার আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না ৷"
উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষ হুগলির বলাগড় অঞ্চলের প্রভাবশালী তৃণমূল যুবনেতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত 21 অক্টোবর চিনারপার্কের একটি আবাসন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। কুন্তলের হুগলি-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাতে একাধিক বিএড কলেজ রয়েছে। সেই সুত্রেই মানিক ভট্টাচার্য-'ঘনিষ্ঠ' বিএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় হয় কুন্তলের।
আরও পড়ুন: ফের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব, হতে পারে কুন্তলের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদও
সেই তাপস মণ্ডল তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের নামে 19 কোটি টাকা কুন্তলের কাছে গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, তাঁর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অন্তত 35 জনের চাকরি হয়েছে। প্রত্যেকেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলকে ব্যাঙ্কশাল আদালত আগামী 3 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ অন্যদিকে হুগলির আরও এক যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বুধবার সকাল দশটার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি ৷ ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে ওইদিন ৷