কলকাতা, 5 জুন: কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । এজলাসে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সোমবার তিনি সাফ বলেন, "ভদ্র না অভদ্র, কে গ্রেফতার হয়েছে তা নিয়ে একেবারেই ভাবছি না ৷" পরিষ্কার করে না-বললেও আসলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের কর্মচারী কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কথাই বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা ।
অন্যদিকে, এদিন প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে ফের এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "পর্ষদের বাইরে থাকা কোনও সংস্থাকে কনফিডেনশিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করা যায় না । আইনে পর্ষদের হাতে এই ধরনের কোনও ক্ষমতা দেওয়া আছে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয় ।"
উল্লেখ্য, 2020 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শীট সরবরাহ থেকে শুরু করে মূল্যায়ন এবং মেধাতালিকা বানানোর কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল এই সংস্থাকে । তার আগেও বেশ কয়েকটি নিয়োগে এই সংস্থাকে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের 11 বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মাসের 30 তারিখ দীর্ঘ প্রায় 11 ঘণ্টা জেরার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নির্দেশেই দালালের কাজ করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষরা ৷ তিনিই প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ৷ এই নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা কে, তা এখন খুঁজে বের করতে চাইছে ইডি ও সিবিআই ৷