কলকাতা, 30 অগস্ট: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপটিটিউট টেস্ট ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি এবার দেখতে চাইল আদালত। ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত 17 জুলাই বিচারপতি বোর্ড সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আমনা পারভিন নামে এক চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউট টেস্ট নিতে হবে। সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে ৷
বুধবার এই মামলার শুনানিতে বোর্ডের আইনজীবী আদালতে জানান, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়ার পর দেখা গিয়েছে চাকরি পাওয়ার মেধায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি আমনা পারভিন। এই সওয়ালের পরই ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ৷ 2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় পাশ করতে না-পেরে আরটিআই করেন মামলাকারী আমনা পারভিন। সেখানে তিনি জানতে পারেন, ছ'টি প্রশ্ন ভুল ছিল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে।
আদালতে মামলা দায়ের হলে, বিচারপতি নির্দেশ দেন, ছয় নম্বর দিতে হবে মামলাকারীকে। পাশ করলে দিতে হবে চাকরিও। 82 পেয়ে পাশ নম্বর থাকার পরও, চাকরি না-পেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। সেই মামলাতেই এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিলেন। আগামী 8 সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে, অন্য আরও একটি মামলায় সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের নম্বর কত এই নিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ভিন্ন মতপোষণ করায় মামলা তৃতীয় বেঞ্চে যায়।
আরও পড়ুন: ঝালদা পৌরসভায় আবাসন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেছে রাজ্য, হাইকোর্টে চেয়ারম্যান-সহ 7 কাউন্সিলর
টেট পাশের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনের জন্য ধার্য ছিল 55 শতাংশ নম্বর। মোট 150 নম্বরে পরীক্ষা। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ ও এনসিটি'র রিপোর্ট উল্লেখ করে এই রায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত মেনেও নেয়। শুরু হয় ইন্টারভিউ। তবে কিছু সাধারণ প্রার্থী ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তাদের আবেদন, 82 নম্বর পেলে পাশ করানো যাবে না। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি এদিন শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের তৃতীয় বেঞ্চ।