ETV Bharat / state

"তিন মাসে নিয়োগ হয়নি কেন ?" প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি বিচারপতির - rule against the secretary of WBBPE

বিশ্বভারতীর রিপোর্ট পাওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে যোগ্য বিবেচিত প্রার্থীদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করায় আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 14, 2019, 10:20 PM IST

কলকাতা, 14 অগাস্ট : তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ কিন্তু মানা হয়নি সেই নির্দেশ ৷ আজ আদালতে শুনানির সময় প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ নির্দেশ অমান্য করায় সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন তিনি ৷ পাশাপাশি 19 সেপ্টেম্বর স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

2014 সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ জানানো হয় 2015-র 11 অক্টোবর হবে TET-এর লিখিত পরীক্ষা ৷ পরীক্ষায় বসেন প্রায় 23 লাখ প্রার্থী ৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন প্রার্থী RTI করেন ৷ তাঁরা জানতে পারেন, 11টি মাল্টিপল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হিসেবে যে চারটি অপশন ছিল তার সবকটিই ছিল ভুল ৷ এরপর শতাধিক TET-এ অসফল প্রার্থী সঠিক তদন্তের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই মামলার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন ৷ পাশাপাশি কমিটিকে খামবন্দী করে রিপোর্ট দিতে বলে হাইকোর্ট ৷ সেইমতো রিপোর্ট দেয় বিশ্বভারতী ৷

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর বলেন, "বিশ্বভারতীর রিপোর্ট পাওয়ার পর 2018 সালের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, 2014-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2015-তে যে TET পরীক্ষা হয়েছিল তাতে 6টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে ৷ তাই যে সমস্ত প্রার্থী ওই 6টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে ৷ নম্বর পাওয়ার পর যদি যোগ্য বিবেচিত হয় তাহলে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ করতে হবে ৷"

বিচারপতির দেওয়া তিন মাসের সময়সীমা শেষ হয় চলতি বছরের 3 জানুয়ারি ৷ কিন্তু মানা হয়নি হাইকোর্টের একটি নির্দেশও ৷ এরই মধ্যে মামলা প্রথমে গড়ায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ৷ সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্টে ৷ এরপর প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয় ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে । প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সেই আবেদন গতকাল খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ ।

আজ একাধিক চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন জানান যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতের নির্দেশ মানছে না ৷ তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি ৷ আদালতের নির্দেশ মেনে কেন তিন মাসের মধ্যে যোগ্য বিবেচিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়নি ? প্রশ্ন করেন ৷ এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন বিচারপতি ৷

কলকাতা, 14 অগাস্ট : তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ কিন্তু মানা হয়নি সেই নির্দেশ ৷ আজ আদালতে শুনানির সময় প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ নির্দেশ অমান্য করায় সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন তিনি ৷ পাশাপাশি 19 সেপ্টেম্বর স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

2014 সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ জানানো হয় 2015-র 11 অক্টোবর হবে TET-এর লিখিত পরীক্ষা ৷ পরীক্ষায় বসেন প্রায় 23 লাখ প্রার্থী ৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন প্রার্থী RTI করেন ৷ তাঁরা জানতে পারেন, 11টি মাল্টিপল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হিসেবে যে চারটি অপশন ছিল তার সবকটিই ছিল ভুল ৷ এরপর শতাধিক TET-এ অসফল প্রার্থী সঠিক তদন্তের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই মামলার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন ৷ পাশাপাশি কমিটিকে খামবন্দী করে রিপোর্ট দিতে বলে হাইকোর্ট ৷ সেইমতো রিপোর্ট দেয় বিশ্বভারতী ৷

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর বলেন, "বিশ্বভারতীর রিপোর্ট পাওয়ার পর 2018 সালের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, 2014-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2015-তে যে TET পরীক্ষা হয়েছিল তাতে 6টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে ৷ তাই যে সমস্ত প্রার্থী ওই 6টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে ৷ নম্বর পাওয়ার পর যদি যোগ্য বিবেচিত হয় তাহলে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ করতে হবে ৷"

বিচারপতির দেওয়া তিন মাসের সময়সীমা শেষ হয় চলতি বছরের 3 জানুয়ারি ৷ কিন্তু মানা হয়নি হাইকোর্টের একটি নির্দেশও ৷ এরই মধ্যে মামলা প্রথমে গড়ায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ৷ সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্টে ৷ এরপর প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয় ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে । প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সেই আবেদন গতকাল খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ ।

আজ একাধিক চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন জানান যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতের নির্দেশ মানছে না ৷ তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি ৷ আদালতের নির্দেশ মেনে কেন তিন মাসের মধ্যে যোগ্য বিবেচিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়নি ? প্রশ্ন করেন ৷ এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন বিচারপতি ৷

Intro:তিন মাসেও কেন করা হয় নি নিয়োগ? Body:
মানস নস্কর -

তিন মাসেও কেন নিয়োগ করা হলো না? প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিরের বিরুদ্ধে রুল জারি করলো হাইকোর্ট

কলকাতা ১৪ অগাস্ট ঃ
3 অক্টোবর 2018 নির্দেশ এখনো কার্যকর করা হয়নি কেন?
৬ প্রশ্ন ভুল মামলায় নির্দেশ অমান্য করলো কেন প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ ?
প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
নির্দেশ অমান্য করায় প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করলেন তিনি।
স্বশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব কে
19 সেপ্টেম্বর তলব করলেন তিনি।

প্রতিভা মন্ডল সহ একাধিক প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না এই দাবিতে।তাতেই আজ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিলেন।এ ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফের এক আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর জানালেন,"এই প্রার্থীরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নম্বর বাড়ার পর যদি কেউ যোগ্য বিবেচিত হয় তাহলে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্ত প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ সেই নির্দেশ এতো দিনে মানে নি।জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখেই তিন মাসের সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। সেই জন্যই আজ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বিরুদ্ধে রুল জারি করলো হাইকোর্ট। গতকাল ডিভিশন বেঞ্চে হেরে যাওয়ার পর আজ সিংগল বেঞ্চে পর্ষদের তরফে কোনো আইনজীবী সওয়াল করতে দাড়াননি।দীর্ঘক্ষন আদালত অপেক্ষা করেছিল।"

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান ২০১৪ র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী ২০১৫ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। তার জন্য যে সমস্ত প্রার্থী উত্তর দেওয়া চেষ্টা করেছেন তাদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে। এবং যোগ্য বিবেচিত হলে সমস্ত নিয়োম মেনে নিয়োগ দিতে হবে এদের তিন মাসের মধ্যে ।কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে, সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্ট। আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত আসে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য। গতকাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সিংগল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটার উপর কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি।এরপর আজ একাধিক প্রার্থী সিংগল বেঞ্চে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ তার নির্দেশ মানছে বলে।তাতেই আজ তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.