কলকাতা, 11 ডিসেম্বর : দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও মেলেনি সুরাহা । তাই এবার জোরদার আন্দোলনের পথে যুবশ্রীরা ৷ আগামী এক মাসের মধ্যে দাবি না মিটলে আমরণ অনশন শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিল পশ্চিমবঙ্গের যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতি।
2013 সালের যুবশ্রী প্রকল্প উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে প্রথম এক লাখ যুবক-যুবতিকে প্রতিমাসে 1500 টাকা করে উৎসাহ ভাতা প্রদান করা হবে । পাশাপাশি যাঁরা এই ভাতা পাবেন তাঁদের 2 বছরের মধ্যে স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি পদে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে ৷ তা না হওয়া পর্যন্ত উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে । তাঁরা চাকরি পাওয়ার পর তাঁদের জায়গায় প্রতিবছর নতুন যুবক-যুবতিরা যুবশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
পশ্চিমবঙ্গের যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতির সভাপতি নির্মল মাঝি বলেন, "এতগুলো বছর কেটে গেল কিন্তু এখনও পর্যন্ত যুবশ্রী প্রকল্প থেকে প্রায় কেউই চাকরি পাননি । শুধু তাই নয়, প্রতি 6 মাস অন্তর কোনও না কোনও প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এভাবে বছরের পর বছর কত প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়? শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র দেখালেই ভাতা পাওয়া যাবে, নয় তো ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে।"
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "বাজারমূল্য অনুযায়ী ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। 6 মাস অন্তর Annexure III নামে যে রিনুয়াল চলছে সেটা বন্ধ করতে হবে । সরকারি চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যুবশ্রী থেকে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে । যাঁদের নাম প্রথম থেকে যুবশ্রী প্রকল্পে নথিভূক্ত ছিল কিন্তু কোনও চাকরি না দেওয়া সত্ত্বেও অনৈতিকভাবে ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ভাতা অবিলম্বে চালু করতে হবে । চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের যুবশ্রী ভাতা চালু রাখতে হবে।"
আজ সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী এক মাসের মধ্যে যুবশ্রীরা সুবিচার না পেলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন তাঁরা ৷ প্রয়োজনে আমরণ অনশন করতে বাধ্য হবেন । 18 ডিসেম্বর কলকাতার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে সকাল 10টা থেকে অবস্থানে বসবেন তাঁরা ৷