কলকাতা, 16 এপ্রিল : চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এ'রাজ্যে 23 জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । এই অবস্থায় রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ছবি যদি স্পষ্ট করা না হয়, তা হলে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব কোরোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে যথাযথ হয়ে উঠবে না ৷ এই সংক্রমণ বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে । জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর তরফে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে এক মেল পাঠিয়ে এমনই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে ।
সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস । চিকিৎসকদের সম্মিলিত এই প্ল্যাটফর্মের তরফে গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে মেল করে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তাঁদের যতটা জানা রয়েছে, তাতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে রাজ্যে 23 জন কোরোনা আক্রান্ত । এই আক্রান্তরা সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কর্মরত । প্রতিটি চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য আপসহীনভাবে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (PPE), N95 মাস্ক, অন্য মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ারের প্রয়োজন ।
মুখ্যসচিবকে পাঠানো মেলে আরও বলা হয়, সঠিক পরিস্থিতি যদি স্পষ্ট করা না হয় এবং চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কোরোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে লকডাউন, সামাজিক দূরত্বের মাধ্যমে যে প্রচেষ্টা চলছে, তা যথাযথ হয়ে উঠবে না । বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে । তবে, কীভাবে রাজ্যে কোরোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ছবি স্পষ্ট হতে পারে, সেই সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় বিবেচনার জন্য জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর তরফে মুখ্যসচিবকে মেলে জানানো হয়েছে ।
ওই বিষয়গুলি হল-
1. কোরোনা নির্ণয়ের জন্য আরও বেশি সংখ্যক সেন্টার এবং আরও বেশি পরীক্ষার ব্যবস্থা ।
2. কোনও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে কোরোনা সংক্রমণের সন্দেহ দেখা দিলে বা কোনও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী কোনও কোরোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে এবং সংস্পর্শে আসার পর যদি কোনও উপসর্গ দেখা নাও দেয়, তা হলেও এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই ওই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য কোরোনা নির্ণয়ের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে ।
3. কোরোনা নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষার নির্দেশ সরলীকরণ এবং দ্রুত করতে হবে ।
4. যে চিকিৎসাকেন্দ্র অথবা নমুনা পাঠানোর কেন্দ্র থেকে নমুনা পাঠানো হয়েছে, পরীক্ষাগার থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সরাসরি দ্রুত সেই চিকিৎসাকেন্দ্র অথবা ওই নমুনা পাঠানোর কেন্দ্রে পাঠাতে হবে ।
5. কোনও চিকিৎসাকেন্দ্র অথবা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড কিংবা কোয়ারান্টাইন সেন্টারে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভরতি রোগী এবং কোরোনা আক্রান্তদের পৃথকভাবে রাখতে হবে ।