কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: নওশাদের মুক্তির দাবিতে পথে নামল বামেরা ৷ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ সমস্ত আইএসএফ নেতা ও কর্মীকে নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানায় বামেরা ৷ এদিন তাদের এই মিছিলে হেঁটেছে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা (Left and ISF to Demand Nawsad Siddique's Release) ৷ তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
গত সপ্তাহে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠকে আলোচনার পর কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন মহঃ সেলিম ৷ 11 ফেব্রুয়ারি নওশাদের মুক্তির দাবিতে জমায়েতের ডাক দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও ৷ সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার মৌলালির রামলীলা পার্ক থেকে ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করে বামেরা ৷ মিছিল থেকে নওশাদ সিদ্দিকী-সহ সমস্ত বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাম ও আইএসএফ ৷ একই সঙ্গে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বাম ও আইএসএফ নেতৃত্ব ৷ এমনকি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবি তোলে বামেরা ৷
এদিন বামেদের তরফে বলা হয়, বামপন্থীদের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার একমাত্র জয়ী বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ তাঁকে এবং অন্যান্য আইএসএফ কর্মীদের বিনা কারণে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে ৷ বামেরা দাবি করেছে, সব রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে ৷ এমনকি নওশাদ ও তাঁর সংগঠন আইএসএফ-এর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে ৷ বামেদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে নওশাদকে টাকা ও উচ্চ পদ দিয়ে কেনার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, নওশাদকে কিনতে পারিনি বলেই ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বামেরা ৷
আরও পড়ুন: ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি ঠিক না, নওশাদকে পালটা ফিরহাদের
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের উদ্যোগে কলকাতায় বিরোধীদলগুলির রাউন্ড টেবিল বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তৃণমূল সরকারের স্বৈরাচারী কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা করেন। সেদিনের বৈঠকে আইএসএফের রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য কল্লোল মজুমদার, সিপিআই-এর পক্ষে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, ওয়েলফেয়ার পার্টি ইন্ডিয়ার আবু তাহের আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আজকের মিছিলে রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য, ফবের নরেন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।