কলকাতা, 20 অক্টোবর: চার দিনে পড়ল টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন (TET Agitation)। করুণাময়ীতে প্রায় 72 ঘন্টা অনশনরত অবস্থায় রয়েছেন 2014 সালের চাকরিপ্রার্থীরা, আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন 2017 সালের টেট উত্তীর্ণরাও । তাঁদের দাবি, অনশন তুলে নেওয়া হবে না । অন্য দিকে, এপিসি ভবনের সামনে এই ধর্নার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । দাবি, পালটা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্র সল্টলেক (Job seekers in do or die fight) ।
একদিকে 2014 টেট পাশ চাকরিপ্রার্থী, অন্যদিকে 2017 টেট পাশ চাকরিপ্রার্থী । সল্টলেকের দু'দিকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা ।এদিন সকাল থেকেই সল্টলেকের 10 নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন 2017 টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা । পালটা সেই বিক্ষোভ থামাতে যায় পুলিশ । দু'পক্ষের মধ্যেই খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়, রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা ।
তবে 2017 সালের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, "ট্রেনিং নেওয়ার পর আমরা টেট পরীক্ষায় পাশ করেছি । 2014 সালের চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যেই দু'বার ইন্টারভিউতে বসেছেন । কিন্ত আমাদের এখনও একবারও ইন্টারভিউ হয়নি । ফলে 2014 সালের চাকরিপ্রার্থীরা যদি আবার ইন্টারভিউতে অংশ নেন, তবে আমাদের সিট সংখ্যা অনেকটা কম যাবে । সেক্ষেত্রে যদি একসঙ্গে বসতে হয় তাহলে সিট সংখ্যা বাড়াতে হবে ।" তবে 2014 চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, "ওদের দাবিকে আমরা সম্মান জানাচ্ছি । সবাই যোগ্য । আমরা একবার ইন্টারভিউ দিয়েছি । মুখ্যমন্ত্রীর বলেছিলেন 1 লক্ষ 20 হাজার সিট রয়েছে । তাহলে কেন নিয়োগ করতে সমস্যা হচ্ছে ?"
আরও পড়ুন: ঘোষিত প্রাইমারি টেট পরীক্ষার দিন, নিয়োগ প্রায় 11 হাজার শিক্ষক পদে
তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, এই দাবি কিছুতেই মানা সম্ভব নয় । বরং আগামিকাল থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে । সেখানে সবাই অংশ নিক । আইনি যে নিয়ম রয়েছে তা মেনেই নিয়োগ হবে । একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, পর্ষদের পক্ষে সিট বাড়ানো কখনও সম্ভব নয় । যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার নেবে ।