ETV Bharat / state

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের কোপে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ 138 জন আন্দোলনকারী

Calcutta High Court: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের দমন পীড়নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের, চাকরির দাবিতে আন্দোলন করার দেওয়া হয়েছে মিথ্যে মামলা ৷ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন 138 জন চাকরিপ্রার্থী ৷

Etv Bharat
ফাইল ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 28, 2023, 10:28 PM IST

কলকাতা, 28 নভেম্বর: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ জানানোয় বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে । পুলিশের এই অতি সক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আটটি মামলা দায়ের করেছেন 138 জন চাকরিপ্রার্থী ৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।

বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন রাজ্যকে প্রশ্ন করেন,"বেআইনি কী করেছে ? কোথাও কোনও 144 ধারা জারি ছিল ? এই ভাবে মামলা বাড়াচ্ছেন ! 5 ডিসেম্বর কেস ডায়েরি জমা করুন, আদালত খতিয়ে দেখতে চায় কী অভিযোগ।" উল্লেখ্য, 2020 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনা দিচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা ৷ কখনও শিক্ষা মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, কখনও এসএসসি চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি আবার কখনও এমএলএ হোস্টেলে গিয়ে বিরোধী বিধায়কদের কাছে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার জন্য আবেদন করেন তারা । এইসব ক্ষেত্রে পুলিশ অন্তত আটটি মামলায় প্রায় সাত হাজার বিক্ষোভকারীকে অভিযুক্ত করেছে বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যকে প্রশ্ন করেন,"বেআইনি কী করেছে ? কোথাও কোনও 144 ধারা জারি ছিল? এই ভাবে মামলা বাড়াচ্ছেন ! হয়রানি করার কী দরকার!" রাজ্য পালটা যুক্তি দেয়,"করোনা মহামারির মধ্যে বিক্ষোভকারীরা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি গিয়েছিলেন। দল বেঁধে স্লোগান দিয়েছেন । বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারি আইনের সঙ্গে আরও নানা ধারা যুক্ত করা হয়েছে ।"

বিচারপতি শেষে বলেন, "সবই কি করোনার সময়ের ? আর যে সব ধারা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কী দেওয়া যায় ! কেস ডাইরি নিয়ে আসুন । 5 ডিসেম্বর কেস ডাইরি হাজির করতে হবে আদালতে।" উল্লেখ্য চাকরির দাবি থেকে শিক্ষকদের মহার্ঘভাতা বা অন্যান্য দাবিতে বার বার বিক্ষোভ মিছিল করতে চেয়ে রাজ্যের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা । চাকরির দাবিতে গোটা ধর্মতলা চত্ত্বর জুড়ে একাধিক জায়গায় এখনও অবস্থান কর্মসূচি চল ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে তবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা । এই আন্দোলনকারীদের নামে পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়ে হেনস্থা করছে বলে আদালতও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এদিন ।

আরও পড়ুন:

কমন সার্ভিস সেন্টার সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে 50 হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য সেন্ট্রাল পার্কে আর কোনও নির্মাণ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

বিয়ে নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে গ্রাস করে না: কর্ণাটক হাইকোর্ট

কলকাতা, 28 নভেম্বর: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ জানানোয় বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে । পুলিশের এই অতি সক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আটটি মামলা দায়ের করেছেন 138 জন চাকরিপ্রার্থী ৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।

বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন রাজ্যকে প্রশ্ন করেন,"বেআইনি কী করেছে ? কোথাও কোনও 144 ধারা জারি ছিল ? এই ভাবে মামলা বাড়াচ্ছেন ! 5 ডিসেম্বর কেস ডায়েরি জমা করুন, আদালত খতিয়ে দেখতে চায় কী অভিযোগ।" উল্লেখ্য, 2020 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনা দিচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা ৷ কখনও শিক্ষা মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, কখনও এসএসসি চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি আবার কখনও এমএলএ হোস্টেলে গিয়ে বিরোধী বিধায়কদের কাছে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার জন্য আবেদন করেন তারা । এইসব ক্ষেত্রে পুলিশ অন্তত আটটি মামলায় প্রায় সাত হাজার বিক্ষোভকারীকে অভিযুক্ত করেছে বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যকে প্রশ্ন করেন,"বেআইনি কী করেছে ? কোথাও কোনও 144 ধারা জারি ছিল? এই ভাবে মামলা বাড়াচ্ছেন ! হয়রানি করার কী দরকার!" রাজ্য পালটা যুক্তি দেয়,"করোনা মহামারির মধ্যে বিক্ষোভকারীরা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি গিয়েছিলেন। দল বেঁধে স্লোগান দিয়েছেন । বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারি আইনের সঙ্গে আরও নানা ধারা যুক্ত করা হয়েছে ।"

বিচারপতি শেষে বলেন, "সবই কি করোনার সময়ের ? আর যে সব ধারা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কী দেওয়া যায় ! কেস ডাইরি নিয়ে আসুন । 5 ডিসেম্বর কেস ডাইরি হাজির করতে হবে আদালতে।" উল্লেখ্য চাকরির দাবি থেকে শিক্ষকদের মহার্ঘভাতা বা অন্যান্য দাবিতে বার বার বিক্ষোভ মিছিল করতে চেয়ে রাজ্যের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা । চাকরির দাবিতে গোটা ধর্মতলা চত্ত্বর জুড়ে একাধিক জায়গায় এখনও অবস্থান কর্মসূচি চল ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে তবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা । এই আন্দোলনকারীদের নামে পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়ে হেনস্থা করছে বলে আদালতও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এদিন ।

আরও পড়ুন:

কমন সার্ভিস সেন্টার সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে 50 হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য সেন্ট্রাল পার্কে আর কোনও নির্মাণ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

বিয়ে নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে গ্রাস করে না: কর্ণাটক হাইকোর্ট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.