কলকাতা, 17 অক্টোবর: এ বছর ফের ধনতেরসের আগে (Dhanteras 2022) মদন দত্ত লেনে বিপর্যয়ে দিশেহারা সোনার দোকানি থেকে গয়নার কারিগররা। 2019-র মেট্রো বিপর্যয় তছনছ করে দেয় সোনার ব্যবসা। গয়নার কারিগরদের ওয়ার্কশপ বড় ধাক্কা খায়। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই স্মৃতি ফিরল 2022-এ ঠিক ধনতেরসের আগে (Jewelry Makers Face Losses in Bowbazar Metro Disaster)।
মদন দত্ত লেনে ফাটলে প্রায় 5-6টি গয়নার ওয়ার্কশপ সরিয়ে ফেলতে হয়েছে যেখানে কমপক্ষে 60-80 জন কারিগরকে অন্যত্র যেতে হয়েছে। 2019-এ বিপর্যয় কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা পর্ব (Corona Pandemic)। দু'বছর অর্ডার কম থাকার পরে আবার সবটাই স্বাভাবিক চলছিল। তাই দোকানগুলি থেকে এবার ওয়ার্কশপে বিপুল পরিমাণে অর্ডার এসেছিল। যা করে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল কারিগরদের।
একইভাবে ব্যবসায়ীদের মুখেও চওড়া হাসি ফুটছিল ক্রেতাদের অর্ডার নিয়ে। তবে সবটা যেন এক মুহূর্তে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। ফাটলের জেরে বেশ কিছু সোনার দোকান ফের নতুন করে বন্ধ হয়ে গেল। পাশাপাশি ফাটলের জেরে জিনিসপত্র নিয়ে এদিক-ওদিক কোনওভাবে সরতে হয়েছে কারিগরদের। অনেকেই মোটা টাকা দিয়ে অন্যের ওয়ার্কশপে ঠাঁই নিয়েছেন। অনেকে যে পরিমাণ অর্ডার নিয়েছেন কার্যত বেশ কিছু বাতিল করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বউবাজারের নতুন করে বিপত্তি, এখনও ঘরে ফেরার দিন গুনছেন 2019 সালের ক্ষতিগ্রস্তরা
আবার কেউ কেউ দিন রাত কাজ করছেন কোনওভাবে অর্ডারের মালগুলো দেওয়ার জন্য ৷ না হলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়াতে হবে। ইতিমধ্যে দোকানি ও কারিগরদের তরফে সরকারি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দাবি জানিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে'র কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এদিন বিশ্বরূপ দে বলেন, "ব্যবসায়ী ও কারিগরদের অবস্থা খুবই খারাপ। ধনতেরসের মুখে এমন ঘটনায় আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে তাঁদের।