কলকাতা, 12 নভেম্বর : একদিকে প্যানডেমিক অন্যদিকে সোনার আকাশ ছোঁয়া দাম, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রায় লাটে ওঠার জোগাড় । তারই মাঝে ক্রেতাদের দোকানমুখী করতে ছোটো-বড় সব সোনার দোকানগুলি একবার দিচ্ছে আকর্ষণীয় সব ছাড় । কোথাও সোনার গয়নার মজুরির উপর ছাড় মিলছে ৷ কোথাও আবার সোনার সঙ্গে রুপোর গয়না দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ।
সামনেই কালীপুজাে আর তার আগে ধনতেরাস । কথিত আছে যে ধনতেরাসের দিনে সোনা, রুপো বা ধাতু যেমন কাঁসা, পিতল ও তামা কেনা শুভ । এই দিনে সোনা বা রুপো সংগ্রহ করলে মা লক্ষ্মী ঘরে আসেন । তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা ৷ প্যানডেমিকের ধাক্কা থেকে একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনের দিকে এগোচ্ছে মানুষ ৷ মানুষের হাতে অন্যান্য বছরের তুলনায় সীমিত অর্থ । তার সঙ্গে দোসর হয়েছে সোনা ও রুপোর অগ্নিমূল্য । তাই উৎসবের মরশুমেও গয়নার দোকানের দিকে পা মাড়াতে ইচ্ছুক নয় মানুষ । তাই সোনার দোকানগুলিতে ধনতেরাসের আগে নতুন ডিজ়াইনের গয়না এলেও দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় তেমন একটা চোখে পড়ার মতো নয় । এদিকে কোরোনা আতঙ্কের সঙ্গে একটানা বহু দিন দোকান-ব্যবসা বন্ধ থাকায় এমনিতেই চলছে মন্দা । বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রের মতোই সোনা ব্যবসাতেও তেমন বিক্রি নেই । তবে সময় যেমনই হোক না কেন ব্যবসাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে ছোটো-বড় সব দোকানেই দেওয়া হচ্ছে নানারকম ছাড় ।
শহরের একটি নামী সোনার শোরুমের ম্যানেজারের কথায়, "ক্রেতাদের দোকানমুখী করতে আমরা যে ক্যাম্পেনটি প্রচার করছি সেটা হল - "ওয়ান ইন্ডিয়া ওয়ান রেট"। অর্থাৎ সারা দেশে আমাদের যেকোনও দোকানে গেলে একই দামে সোনা মিলবে । সোনার গয়নার মজুরির উপর মিলবে 40 শতাংশ ছাড় । হিরের দামের উপর 20 শতাংশ ছাড় । পাশাপাশি ধনতেরাসের দিন সোনার গয়না কেনার সময় 10 শতাংশ অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং করলে সোনা ক্রয়ের সমপরিমাণ রুপো বিনামূল্যে পাওয়া যাবে ।" শহরের আরও একটি নামজাদা গয়না বিপণির স্টোর ম্যানেজার জানালেন, "আমরা সোনার গয়নায় গ্রাম প্রতি 300 টাকা গ্রাম ছাড় দিচ্ছি ৷ এছাড়া হিরের গয়নার উপর 25 শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে ।"
সব মিলিয়ে এবারের ধনতেরাসে ক্রেতাদের দোকানমুখী করতে তৎপর শহরের ছোটো-বড় গয়নার বিপণিগুলি ৷